ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই এন-৯৫ মাস্ক, বিকল ইসিজি আলট্রাসনোগ্রামও

সিভিল সার্জন বলেন, আমি সদ্য যোগ দেওয়ায় হাসপাতালে অনেক কিছু নিয়েই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে

 আব্দুল্লাহ হেল বাকী, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) সার্জিক্যাল গাউন, এন-৯৫ মাস্ক, গ্লাভস, হেড কাভার, গগলজ, সু-কাভার ইত্যাদি শতভাগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সার্জিক্যাল এন-৯৫ মাস্ক চাহিদা অনুযায়ী অপ্রতুল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসক নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর তেমন সংকট না থাকলেও কয়েক বছর ধরে ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট হয়ে পরে থাকায় উপজেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোণাভাইরাস আক্রান্ত নারী-পুরুষ রোগীদের জন্য আলাদা আইসোলেশন কক্ষ তৈরি করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি টিমের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত মোট ২০৮ জনকে নিজ নিজ হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। একজন জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে আইশোলেশনে ভর্তি রয়েছেন। তাদের শরীরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি।

তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবু ইসা আরাফাত ইমাম বলেন, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। এজন্য চিকিৎসক নার্সদের কিছু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) স্বল্পতা রয়েছে। করোনা সচেতনতায় প্রতিটি ইউনিয়নকে ২৫ ভাগে ভাগ করে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমাদের ১৪ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন চলছে।এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুব শিগগির করোনামুক্ত ধামইরহাট গড়তে সফল হবো।

ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কোভিট-১৯ টেস্ট ল্যাব পিসিআর না থাকায় ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করতে রাজশাহী যেতে হচ্ছে। আমাদের আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি মেশিন কিছুদিন আগে ঠিক করে আনার পরেও আবার নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সরকারের দেয়া ৩০০ পিপিই হাতে পেয়েছি। তবে করোনা চিকিৎসায় এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজনীয় সার্জিক্যাল এন-৯৫ মাস্ক না থাকায় চিন্তায় রয়েছি।

আশা করছি খুব শিগগির পেয়ে যাবো। আমাদের কোনো চিকিৎসক সংকট নেই। সব রোগী শতভাগ চিকিৎসা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছি। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. আকতারুজ্জামান আলাল বলেন, আমি জানুয়ারির শেষে দ্বায়িত্বভার নেয়ায় সম্প্রতি করোনা ভাইরাসকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততার মাঝে সময় পার করছি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কী কী মেশিন নষ্ট আছে তা আমার জানা নেই। করোনায় ডাক্তারদের চিকিৎসায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের দেয়া পিপিই আমরা সব হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজনীয় সার্জিক্যাল এন-৯৫ মাস্ক আমাদের হাতে নেই। আশা করছি খুব শিগগির এগুলো আমরা পেয়ে যাবো। আর যন্ত্রপাতি যেগুলো নষ্ট আছে তার একটি তালিকা তৈরি করে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই এন-৯৫ মাস্ক, বিকল ইসিজি আলট্রাসনোগ্রামও

আপডেট সময় ১২:২০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০

 আব্দুল্লাহ হেল বাকী, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) সার্জিক্যাল গাউন, এন-৯৫ মাস্ক, গ্লাভস, হেড কাভার, গগলজ, সু-কাভার ইত্যাদি শতভাগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সার্জিক্যাল এন-৯৫ মাস্ক চাহিদা অনুযায়ী অপ্রতুল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসক নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর তেমন সংকট না থাকলেও কয়েক বছর ধরে ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট হয়ে পরে থাকায় উপজেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোণাভাইরাস আক্রান্ত নারী-পুরুষ রোগীদের জন্য আলাদা আইসোলেশন কক্ষ তৈরি করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি টিমের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত মোট ২০৮ জনকে নিজ নিজ হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। একজন জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে আইশোলেশনে ভর্তি রয়েছেন। তাদের শরীরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি।

তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবু ইসা আরাফাত ইমাম বলেন, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। এজন্য চিকিৎসক নার্সদের কিছু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) স্বল্পতা রয়েছে। করোনা সচেতনতায় প্রতিটি ইউনিয়নকে ২৫ ভাগে ভাগ করে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমাদের ১৪ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন চলছে।এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুব শিগগির করোনামুক্ত ধামইরহাট গড়তে সফল হবো।

ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কোভিট-১৯ টেস্ট ল্যাব পিসিআর না থাকায় ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করতে রাজশাহী যেতে হচ্ছে। আমাদের আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি মেশিন কিছুদিন আগে ঠিক করে আনার পরেও আবার নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সরকারের দেয়া ৩০০ পিপিই হাতে পেয়েছি। তবে করোনা চিকিৎসায় এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজনীয় সার্জিক্যাল এন-৯৫ মাস্ক না থাকায় চিন্তায় রয়েছি।

আশা করছি খুব শিগগির পেয়ে যাবো। আমাদের কোনো চিকিৎসক সংকট নেই। সব রোগী শতভাগ চিকিৎসা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছি। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. আকতারুজ্জামান আলাল বলেন, আমি জানুয়ারির শেষে দ্বায়িত্বভার নেয়ায় সম্প্রতি করোনা ভাইরাসকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততার মাঝে সময় পার করছি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কী কী মেশিন নষ্ট আছে তা আমার জানা নেই। করোনায় ডাক্তারদের চিকিৎসায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের দেয়া পিপিই আমরা সব হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজনীয় সার্জিক্যাল এন-৯৫ মাস্ক আমাদের হাতে নেই। আশা করছি খুব শিগগির এগুলো আমরা পেয়ে যাবো। আর যন্ত্রপাতি যেগুলো নষ্ট আছে তার একটি তালিকা তৈরি করে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।