দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে আটকে পড়ে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। খনিশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া) এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, উদ্ধারকারীরা বেশ কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। ভেতরে আরও অনেক শ্রমিক আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।পরিত্যক্ত এই সোনার খনিটি দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গ থেকে ১৪০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে স্টিলফন্টেইনের কাছে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে ‘বাফেলসফন্টেইন’ সোনার খনি নামে পরিচিত এই খনিতে গতকাল সোমবার পেশাদার উদ্ধারকারীরা একটি বড় খাঁচা পাঠায়।
দক্ষিণ আফ্রিকান ন্যাশনাল সিভিকস অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র মজুকিসি জাম বলেন, ‘উদ্ধারকাজ ভালোভাবে চলছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে উপরে ওঠানো হয়েছে।’
এদিকে মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া) গোষ্ঠীর মুখপাত্র সাবেলো মঙ্গুনি বলেন, ‘উদ্ধার করা শ্রমিকের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে। সেখানে ধারণ করা দুটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাটির নিচে প্লাস্টিকে মোড়ানো ডজন ডজন মৃতদেহ পড়ে আছে। এ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে মৃতের সংখ্যা শতাধিক হবে। সম্ভবত অনাহার কিংবা পানিশূন্যতায় তারা মারা গেছেন।
পুশিল জানিয়েছে, সোনার খনিটি পরিত্যক্ত হওয়ায় সেখানে প্রবেশ অবৈধ ছিল। তাই গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে শ্রমিকেরা সেখান থেকে বের হতে চাচ্ছেন না।সাবেলো মঙ্গুনি বলেন, সরকারি উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত ৯টি মরদেহ এবং ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সাবাটা মকগওয়াবোনে বলেন, ‘কতগুলো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এবং কতজন জীবিত উদ্ধার হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এখনই প্রকৃত সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।’