ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ভারতে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত দুই শিশু

চিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। উপচে পড়ছে সে দেশের বহু হাসপাতাল। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। এবার ভারতে এইচএমপিভি-তে আক্রান্তের সন্ধান মিলল। বেঙ্গালুরুতে একটি তিন মাসের ও একটি আট মাসের শিশুর দেহে এইচএমপিভি-র সন্ধান মিলেছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশু দু’টির চিকিৎসা চলছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও ঘুরতে যায়নি বলে জানা গিয়েছে।দেশের এইচএমপিভি আক্রান্তের সন্ধানের খবরটি নিশ্তিত করেছে কর্নাটক স্বাস্থ্য দপ্তর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিশুটির দেহ থেকে যে ভাইরাস মিলেছে তা চিনের এইচএমপিভি-র স্ট্রেন কি না তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যে তিন মাসের শিশুকন্যার দেহে এইচএমপিভি হদিশ মিলেছে তাকে বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

শিশুটির এর আগে ব্রঙ্কোনিউমনিয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুকন্যাটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি, একটি আট মাসের শিশুর দেহে এইচএমপিভি-র সন্ধান পাওয়া যায়। তাকেও বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিশুটিরও ব্রঙ্কোনিউমনিয়া উপসর্গ ছিল আগে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল চিনের ভাইরাস নিয়ে আপাতত এ দেশে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।

২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কার হয় হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি। চিনে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসের প্রকোপে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। গত বছর ৩২৪ জন এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিনে। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫।যদিও চিনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে এইচএমপিভি নতুন কিছু নয়। এর উপসর্গ অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।

এটিকে শুধুমাত্র ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে চিন। পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশু, সদ্যোজাত এবং ৬৫ বছরের উপরের বয়স্কদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চিনে এইচএমপিভি-র পাশাপাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড ১৯-এর উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিন সরকারের তরফ থেকে। মালয়েশিয়াতেও এইচএমপিভি উপসর্গের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে রোজ। সে দেশেরও সরকার জনগণকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

ট্যাগস

এবার ভারতে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত দুই শিশু

আপডেট সময় ০৪:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

চিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। উপচে পড়ছে সে দেশের বহু হাসপাতাল। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। এবার ভারতে এইচএমপিভি-তে আক্রান্তের সন্ধান মিলল। বেঙ্গালুরুতে একটি তিন মাসের ও একটি আট মাসের শিশুর দেহে এইচএমপিভি-র সন্ধান মিলেছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশু দু’টির চিকিৎসা চলছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও ঘুরতে যায়নি বলে জানা গিয়েছে।দেশের এইচএমপিভি আক্রান্তের সন্ধানের খবরটি নিশ্তিত করেছে কর্নাটক স্বাস্থ্য দপ্তর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিশুটির দেহ থেকে যে ভাইরাস মিলেছে তা চিনের এইচএমপিভি-র স্ট্রেন কি না তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যে তিন মাসের শিশুকন্যার দেহে এইচএমপিভি হদিশ মিলেছে তাকে বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

শিশুটির এর আগে ব্রঙ্কোনিউমনিয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুকন্যাটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি, একটি আট মাসের শিশুর দেহে এইচএমপিভি-র সন্ধান পাওয়া যায়। তাকেও বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিশুটিরও ব্রঙ্কোনিউমনিয়া উপসর্গ ছিল আগে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল চিনের ভাইরাস নিয়ে আপাতত এ দেশে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।

২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কার হয় হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি। চিনে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসের প্রকোপে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। গত বছর ৩২৪ জন এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিনে। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫।যদিও চিনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে এইচএমপিভি নতুন কিছু নয়। এর উপসর্গ অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।

এটিকে শুধুমাত্র ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে চিন। পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশু, সদ্যোজাত এবং ৬৫ বছরের উপরের বয়স্কদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চিনে এইচএমপিভি-র পাশাপাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড ১৯-এর উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিন সরকারের তরফ থেকে। মালয়েশিয়াতেও এইচএমপিভি উপসর্গের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে রোজ। সে দেশেরও সরকার জনগণকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।