ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলে নিহত ১১, অবকাঠামো ধ্বংস ১০ হাজার

গত চারদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে প্যালিসেডেস, ইটনের আগুন সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করেছে। প্যালিসেডেসের আগুনে পুড়েছে ১৯ হাজার একর জমি।   

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দাবানল সৃষ্টির শুরু থেকেই এক যোগে ৬টি দাবানল বিস্ফোরিত হয়। যার প্রভাবে কাউন্টির আশেপাশের এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে রীতিমতো। অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এই দাবানলে, ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার অবকাঠামো। তবে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, সংখ্যাটা আরও বেড়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্যালিসেইডসে ২০ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। অঞ্চলটির আগুন ৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইটনের আগুন ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুড়েছে ১৩ হাজার ৯৫৬ একর এলাকা। লিডিয়ায় ৩৯৫ একর পুড়েছে, নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৭৫ শতাংশ আগুন। হার্স্ট অঞ্চলে ৭৭১ একর পুড়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৩৭ শতাংশ। আর কেনেথ অঞ্চলে ৩৫ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে আগুন ছড়ানো রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা।

মেয়র ক্যারেন বাস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘পরিস্থিতিটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু সাফল্যের খবর এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি। তবে আমরা জানি, আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। সে জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসকে প্রস্তুত রাখতে হবে। জীবন রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে আমাদের, এটাই প্রথম কাজ’।

এদিকে দাবানলের স্বাস্থ্যঝুঁকিও মারত্মক বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জয়তি মিশ্র এক জরিপের ভিত্তিতে জানান, যারা দাবানলের কারণে বাস্তুচ্যুত হন, তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, হাতাশা ও ট্রমা-উত্তর মানসিক চাপ দেখা যায়। দাবানল এমন ভয়ংকর হয়ে ওঠার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে কীভাবে এর সূত্রপাত হলো, তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারছেন না।

ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ডেভিভ অ্যাকুনার মতে, ক্যালিফোর্নিয়া এলাকার ৫ শতাংশ দাবানলের শুরুটা হয় মানুষের কারণেই। যদিও চলমান দাবানলের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট করেননি সরকারি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দীর্ঘ খরা ও তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়েছে।

ট্যাগস

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলে নিহত ১১, অবকাঠামো ধ্বংস ১০ হাজার

আপডেট সময় ১১:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

গত চারদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে প্যালিসেডেস, ইটনের আগুন সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করেছে। প্যালিসেডেসের আগুনে পুড়েছে ১৯ হাজার একর জমি।   

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দাবানল সৃষ্টির শুরু থেকেই এক যোগে ৬টি দাবানল বিস্ফোরিত হয়। যার প্রভাবে কাউন্টির আশেপাশের এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে রীতিমতো। অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এই দাবানলে, ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার অবকাঠামো। তবে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, সংখ্যাটা আরও বেড়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্যালিসেইডসে ২০ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। অঞ্চলটির আগুন ৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইটনের আগুন ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুড়েছে ১৩ হাজার ৯৫৬ একর এলাকা। লিডিয়ায় ৩৯৫ একর পুড়েছে, নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৭৫ শতাংশ আগুন। হার্স্ট অঞ্চলে ৭৭১ একর পুড়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৩৭ শতাংশ। আর কেনেথ অঞ্চলে ৩৫ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে আগুন ছড়ানো রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা।

মেয়র ক্যারেন বাস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘পরিস্থিতিটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু সাফল্যের খবর এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি। তবে আমরা জানি, আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। সে জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসকে প্রস্তুত রাখতে হবে। জীবন রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে আমাদের, এটাই প্রথম কাজ’।

এদিকে দাবানলের স্বাস্থ্যঝুঁকিও মারত্মক বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জয়তি মিশ্র এক জরিপের ভিত্তিতে জানান, যারা দাবানলের কারণে বাস্তুচ্যুত হন, তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, হাতাশা ও ট্রমা-উত্তর মানসিক চাপ দেখা যায়। দাবানল এমন ভয়ংকর হয়ে ওঠার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে কীভাবে এর সূত্রপাত হলো, তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারছেন না।

ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ডেভিভ অ্যাকুনার মতে, ক্যালিফোর্নিয়া এলাকার ৫ শতাংশ দাবানলের শুরুটা হয় মানুষের কারণেই। যদিও চলমান দাবানলের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট করেননি সরকারি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দীর্ঘ খরা ও তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়েছে।