নওগাঁয় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত এক বছরে এ জেলায় অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যানবাহনের বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক আর ওভারটেকিং প্রবণতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় ৫১ জন আর আহত হয় ৩২ জন। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসেই বেশ কিছু সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ১৪ জন মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জনের মতো।
অন্যদিকে, নওগাঁয় ভটভটি, নসিমন-করিমন, বালুর ট্রাক এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব যানবাহন নিয়ে যারা সড়কে নামছেন, তারা অধিকাংশই অদক্ষ চালক। এর ফলে কখনও নিজেই মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন, আবার কখনও অন্যকে মারছেন।
এছাড়াও সড়কে আইন না মানা, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, ওভারটেক প্রবণতায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কে অবৈধ যানের অবাধে চলাচল, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, বালুবাহী ট্রাক, ইটভাটার ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারের বেপরোয়া চলাচল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশের অব্যবস্থাপনাও রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
তবে মূল অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তারা দায় চাপাচ্ছেন একে অপরের ওপর। বাস চালকদের দাবি সড়কে সিএনজি, নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ অন্যান্য যানবাহন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনালে কয়েকজন বাস চালকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ হলো সড়কে অবৈধভাবে ভটভটি, নসিমন, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল। এসব যানবাহনের চালকরা ডান-বাম বুঝে না। তাদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। সাইড চাইলেও দেয় না। আবার কোনোরকম সাইড দিলেও অনেক সমস্যাই পড়তে হয়। এজন্য দুর্ঘটনারোধে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।
নওগাঁ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে লাইসেন্সবিহীন চালক ও অনিবন্ধিত যানবাহন চলাচলে বন্ধে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও চালক, হেলপার ও জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।