স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন শুরু হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। এখন এই এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারবে না এবং কাউকে প্রবেশ করতেও দেওয়া হবে না।
প্রাথমিকভাবে চলবে ১৪ দিন। ফলে সেখান প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হবে। ছোট এই এলাকাটিতে অন্তত ৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রাজাবাজারে শুরু হলেও এর মধ্যে দিয়ে ঢাকায় লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করে শুরু হচ্ছে এলাকাভিত্তিক ভিন্নমাত্রার লকডাউন (অবরুদ্ধ)।
ডিএনসিসি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দারা বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের মানুষ ভেতরে ঢুকতে পারবেন না।
এলাকায় আটটি প্রবেশপথের মধ্যে মাত্র একটি (গ্রিন রোড, আইবিএ হোস্টেলের পাশে) খোলা থাকবে। লকডাউন চলাকালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে কেনা যাবে, যা বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এটুআই ও ইক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে।
হোম ডেলিভারির জন্য একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী থাকবে। যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রি কিনতে চান, তাদের জন্য নির্ধারিত ভ্যানে শাক-সবজি, মাছ-মাংস বেচাকেনার সুবিধা থাকবে।
এ জন্য ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ঢুকতে দেওয়া হবে। কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের তালিকা অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রি সরবরাহ করা হবে। রোগীদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু থাকবে।
এলাকার নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এটি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। গুরুতর রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে। জরুরি সেবার কর্মীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন। থাকবে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দল।
লকডাউন বাস্তবায়নে নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ, এটুআই, ই-কমার্স অব-
বাংলাদেশ (ইক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরও থাকছে। এর মধ্যে ত্রাণের জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা যাবে।