ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তড়িঘড়ি করে ধান কাটলেও ‘শূন্য পকেটে’ ফিরলেন শ্রমিকরা

শ্রমিক

সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ    সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে তড়িঘড়ি করে যারা হাওরের ধানে কৃষকের গোলা ভরেছে। তবে, ‘শূন্য পকেটে’ ফিরতে হয়েছে সেই শ্রমিকদের।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে গাইবান্ধায় ফিরে আসা শ্রমিকদের অভিযোগ, সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে পেয়েছেন দু’শ টাকা দৈনিক মজুরি।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার মামুদনগরে ১৩দিন ধান কাটার পর গাইবান্ধায় ফিরে আসে চল্লিশ শ্রমিক। তাদের অভিযোগ, ধানকাটার পর নিয়মানুযায়ী সাতভাগের এক ভাগ প্রাপ্য হলেও তা পায়নি শ্রমিকরা।

সেখানকার ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে তারা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।

বোরো মৌসুমে ধান কাটার কাজ করে উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করে বছরের অনেকটা সময় যারা সংসারের খরচ বহন করে তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার দাবি কৃষক নেতাদের।

কৃষক নেতা মনজুর আলম মিঠু বলেন, সরকারের দায়িত্ব দ্রুত গতিতে এই মানুষদের ন্যায্য পাওনা করে দেয়া।

গাইবান্ধার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব, সংসদ সদস্য ও কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নেবেন।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, মালিক হিসেবে যারা এই ধান কাটিয়ে নিয়েছে তারা যেন তাদের নিশ্চিত মূল্যটা দেয়। এটা আদায় করে নিতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব মো. নূর-উর-রহমান বলেন, কোনো অসুবিধা হলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর কথা। এখন জেলা প্রশাসককে বলে দিচ্ছি, বিষয়টা দেখবে।

ফিরে আসা চল্লিশ শ্রমিক জানান,তেরো দিনে ৯১ বিঘা জমির ধান কেটে ভাগে পাওয়া ১শ ৮৮ মণ ধান বিক্রি করে একেকজনের মজুরি মাত্র দু’শ তেরো টাকা পড়েছে।

ট্যাগস

তড়িঘড়ি করে ধান কাটলেও ‘শূন্য পকেটে’ ফিরলেন শ্রমিকরা

আপডেট সময় ০৩:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ    সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে তড়িঘড়ি করে যারা হাওরের ধানে কৃষকের গোলা ভরেছে। তবে, ‘শূন্য পকেটে’ ফিরতে হয়েছে সেই শ্রমিকদের।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে গাইবান্ধায় ফিরে আসা শ্রমিকদের অভিযোগ, সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে পেয়েছেন দু’শ টাকা দৈনিক মজুরি।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার মামুদনগরে ১৩দিন ধান কাটার পর গাইবান্ধায় ফিরে আসে চল্লিশ শ্রমিক। তাদের অভিযোগ, ধানকাটার পর নিয়মানুযায়ী সাতভাগের এক ভাগ প্রাপ্য হলেও তা পায়নি শ্রমিকরা।

সেখানকার ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে তারা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।

বোরো মৌসুমে ধান কাটার কাজ করে উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করে বছরের অনেকটা সময় যারা সংসারের খরচ বহন করে তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার দাবি কৃষক নেতাদের।

কৃষক নেতা মনজুর আলম মিঠু বলেন, সরকারের দায়িত্ব দ্রুত গতিতে এই মানুষদের ন্যায্য পাওনা করে দেয়া।

গাইবান্ধার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব, সংসদ সদস্য ও কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নেবেন।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, মালিক হিসেবে যারা এই ধান কাটিয়ে নিয়েছে তারা যেন তাদের নিশ্চিত মূল্যটা দেয়। এটা আদায় করে নিতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব মো. নূর-উর-রহমান বলেন, কোনো অসুবিধা হলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর কথা। এখন জেলা প্রশাসককে বলে দিচ্ছি, বিষয়টা দেখবে।

ফিরে আসা চল্লিশ শ্রমিক জানান,তেরো দিনে ৯১ বিঘা জমির ধান কেটে ভাগে পাওয়া ১শ ৮৮ মণ ধান বিক্রি করে একেকজনের মজুরি মাত্র দু’শ তেরো টাকা পড়েছে।