ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ৫২৫ কোটি টাকার শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা

নওগাঁর বাজারে জমে উঠেছে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। এসব শাক- সবজির  ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা । তাদের  স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবিজ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর জেলায় প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার কৃষক শাক-সবজির আবাদ করেছে। এ বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৪ টন শাক-সবজি উৎপাদনের আশা। জনপ্রতি প্রতিদিন সবজির চাহিদা ২৫০ গ্রাম। সেই হিসেবে জেলার চাহিদা ৮৫ হাজার টন। নওগাঁ সদর, বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে দেখা মিলবে শীতকালীন নানা জাতের শাক-সবজি। এসব উপজেলায় শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, লাউ, লালশাক ও পালংশাকসহ অন্তত ২৫-৩০ ধরনের শাক-সবজি চাষাবাদ হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষ লাভজনক। কীটনাশক ছাড়া এখন আর শাক-সবজির চাষ কল্পনা করা যায় না। সবজি চাষে প্রতি বিঘাতে কীটনাশকে খরচ পড়ে অনন্ত ১২-১৪ হাজার টাকা। েনওগাঁ সদর উপজেলার শুকুর চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তার চাষের জমি চার বিঘা। যেখানে সারা বছর শিম, পটল, বেগুনসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির আবাদ করেন। এ বছর দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচ হবে অন্তত ৪০-৪৫ হাজার টাকা। যেখানে শিম বিক্রি হবে বিঘাপ্রতি লক্ষাধিক টাকা। চার বিঘা জমিতে বছর শেষে বেচাকেনা হবে অন্তত ৪ লাখ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকবে প্রায় ২ লাখ টাকা।

আরেক কৃষক ছায়েদ উদ্দিন বলেন, সবজিতে প্রায় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সঠিক কীটনাশক ব্যবহার করা গেলে অর্থের অপচয় কম হবে। এতে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি আমরা লাভবান হতে পারব। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা তৈরি করা। সবজি পাইকারি ব্যবসায়ি মানিক হোসেন বলেন, জেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজির আবাদ হয়। সারা বছরই এসব সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আমরা সরবরাহ করে থাকি। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, লাউ ও শিম সরবরাহ করা হচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ২৫-৩০ ধরনের শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। জেলায় জনসংখ্যা বিবেচনায় সবজির চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ জেলায় প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা। কৃষি বিভাগ থেকে শাক-সবজি চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হয়।

নওগাঁয় ৫২৫ কোটি টাকার শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

নওগাঁর বাজারে জমে উঠেছে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। এসব শাক- সবজির  ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা । তাদের  স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবিজ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর জেলায় প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার কৃষক শাক-সবজির আবাদ করেছে। এ বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৪ টন শাক-সবজি উৎপাদনের আশা। জনপ্রতি প্রতিদিন সবজির চাহিদা ২৫০ গ্রাম। সেই হিসেবে জেলার চাহিদা ৮৫ হাজার টন। নওগাঁ সদর, বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে দেখা মিলবে শীতকালীন নানা জাতের শাক-সবজি। এসব উপজেলায় শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, লাউ, লালশাক ও পালংশাকসহ অন্তত ২৫-৩০ ধরনের শাক-সবজি চাষাবাদ হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষ লাভজনক। কীটনাশক ছাড়া এখন আর শাক-সবজির চাষ কল্পনা করা যায় না। সবজি চাষে প্রতি বিঘাতে কীটনাশকে খরচ পড়ে অনন্ত ১২-১৪ হাজার টাকা। েনওগাঁ সদর উপজেলার শুকুর চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তার চাষের জমি চার বিঘা। যেখানে সারা বছর শিম, পটল, বেগুনসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির আবাদ করেন। এ বছর দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচ হবে অন্তত ৪০-৪৫ হাজার টাকা। যেখানে শিম বিক্রি হবে বিঘাপ্রতি লক্ষাধিক টাকা। চার বিঘা জমিতে বছর শেষে বেচাকেনা হবে অন্তত ৪ লাখ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকবে প্রায় ২ লাখ টাকা।

আরেক কৃষক ছায়েদ উদ্দিন বলেন, সবজিতে প্রায় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সঠিক কীটনাশক ব্যবহার করা গেলে অর্থের অপচয় কম হবে। এতে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি আমরা লাভবান হতে পারব। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা তৈরি করা। সবজি পাইকারি ব্যবসায়ি মানিক হোসেন বলেন, জেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজির আবাদ হয়। সারা বছরই এসব সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আমরা সরবরাহ করে থাকি। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, লাউ ও শিম সরবরাহ করা হচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ২৫-৩০ ধরনের শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। জেলায় জনসংখ্যা বিবেচনায় সবজির চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ জেলায় প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা। কৃষি বিভাগ থেকে শাক-সবজি চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হয়।