ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয় Logo নওগাঁয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মানব বন্ধন Logo নওগাঁয় মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের জরিমানা Logo সেবা প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্রেঞ্চ দিলেন বেলাল Logo বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার Logo মানুষ আমার প্রেমে পড়ে, আমি পড়ি না: পরীমণি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ব্যবসা বন্ধ করলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত Logo অন্তর্বর্তী সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না: জিএম কাদের Logo দ্বিতীয়বার রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি,,প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত: সারজিস আলম Logo এমএলএসের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

করোনা পরিস্থিতিতে নওগাঁর সাপাহারে আম বাজারজাত করা নিয়ে হতাশ চাষীরা

সাপাহার প্রতিনিধিঃ আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে গাছগুলোতে আম দোল খেতে দেখা যাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবারেও গত বছরের ন্যায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে আম বাজারজাত করা নিয়ে হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার আমচাষীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর সাপাহারের আম শুধু মাত্র আমাদের দেশ’ই নয় বরং বিশ্বের বেশ কিছু দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়াও এই উপজেলাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ব্যাপারীগন এসে আমের বাগান ক্রয় করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আম ব্যাবসায়ীগন আড়তের মাধ্যমে আম ক্রয় করে দেশ-বিদেশে রপ্তানী করেন।

কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের সব দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে শুধু তাই নয় নওগাঁ জেলা লকডাউন থাকার ফলে এলাকায় আসতে পারছেননা কোন ব্যাপারী। যার ফলে আমের বাজারজাত করা নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন এলাকার আমচাষীগন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিলো। প্রতি হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছিলো ১৫ মেট্রিক টন। যার ফলে লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগানো হয়েছে। যাতে করে এ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমি।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে ব্যাপক পরিমাণ আম দেখা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে আম যাতে ঝড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছ গুলোতে বালাইনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

এ বছরে আম বাগান বৃদ্ধি হলেও গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার আমচাষীরা জানান, আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার করে আম রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা।

কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের স্থিতিকাল যদি বেড়ে যায় তাহলে বাজারজাত করা নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার অধিকাংশ আমচাষী।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয়

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

করোনা পরিস্থিতিতে নওগাঁর সাপাহারে আম বাজারজাত করা নিয়ে হতাশ চাষীরা

আপডেট সময় ০৭:০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

সাপাহার প্রতিনিধিঃ আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে গাছগুলোতে আম দোল খেতে দেখা যাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবারেও গত বছরের ন্যায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে আম বাজারজাত করা নিয়ে হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার আমচাষীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর সাপাহারের আম শুধু মাত্র আমাদের দেশ’ই নয় বরং বিশ্বের বেশ কিছু দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়াও এই উপজেলাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ব্যাপারীগন এসে আমের বাগান ক্রয় করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আম ব্যাবসায়ীগন আড়তের মাধ্যমে আম ক্রয় করে দেশ-বিদেশে রপ্তানী করেন।

কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের সব দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে শুধু তাই নয় নওগাঁ জেলা লকডাউন থাকার ফলে এলাকায় আসতে পারছেননা কোন ব্যাপারী। যার ফলে আমের বাজারজাত করা নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন এলাকার আমচাষীগন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিলো। প্রতি হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছিলো ১৫ মেট্রিক টন। যার ফলে লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগানো হয়েছে। যাতে করে এ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমি।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে ব্যাপক পরিমাণ আম দেখা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে আম যাতে ঝড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছ গুলোতে বালাইনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

এ বছরে আম বাগান বৃদ্ধি হলেও গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার আমচাষীরা জানান, আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার করে আম রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা।

কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের স্থিতিকাল যদি বেড়ে যায় তাহলে বাজারজাত করা নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার অধিকাংশ আমচাষী।