নওগাঁ সদরের হাসাইগাড়ী এলাকায় ২৬ মাস বয়সী এক শিশুকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভুগী মা তার দুগ্ধজ্ত শিশুকে কাছে পেতে আদালতে মামলা করেছেন।এদিকে শিশুকে কাছে না পেয়ে দিশেহারা মা পাগল প্রায় হতে বসেছে। ভুক্তভুগীর নাম রিমা আখতার।
মামলার বিবরনে জানা যায়। ২০২১ সালে রিমার বিয়ে হয় মান্দা থানার ইলশাগাড়ী গ্রামের আব্দুল্লাহ আল কাফির সাথে ।বিয়ের কিছু দিন পর আব্দুল্লাহর ও রিমার পরিবারে একটি পত্র সন্তান জন্ম নেয়। এর মাঝে আব্দুল্লাহ সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে যায়।সেখানে যাওয়ার পর থেকেই আব্দুল্লাহর পরিবার বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ তোলে রিমা আখতারের বাবার কাছ থেকে যৌতুক এনে দিতে চাপ দিতে থাকে।মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে কয়েক দফায় প্রায় ৫ লাখ টাকা নেয় আব্দুল্লাহর পিতা ও মাতা। কিন্ত তাতেই তারা তুষ্ট হয় না।আব্দুল্লাহর পিতা মোকলেছুর রহমান, ও তার মা তোহিফা বেগম রিমা আখতারের উপর চরম নির্যাতন চালাতে থাকে।স্বামী প্রবাসে থাকায় রিমা আখতার তার উপর চালানো নির্যাতনের বিচার চাইলেও তা আমলে
না নিয়ে আব্দুল্লাহ উল্টো রিমা আখতার কে আরো টাকা এনে দিতে বলে।
দিনেরপর দিন সীমাহীন অত্যাচার চালানোর এক পর্যায়ে রিমা আখতার জানতে পারে আব্দুল্লাহর আগের আরো একটি স্ত্রী রয়েছে।ফেনির সোনাগাজি থানার সেনেরখিল গ্রামের সুলতানা আখতার নাছরিন কে বিয়ে করে আব্দুল্লাহ।সে বিয়ের হলফ নামায় দেখা যায় ২০১৯ সালের ৯ মার্চ তারা বিয়ে করে। যার দেন মোহর ধরা হয় দুই লাখ টাকা। এ ঘটনাটি জানার পর আব্দুল্লাহর পরিবার থেকে উভয় কে নিয়ে একটি সালিস বৈঠক করে। তাতে রিমা আখতার তার স্বামীর তথ্য গোপন করে বিয়ে করা সেই স্ত্রীকে মেনে নিয়ে সংসার করার সম্মতি দেয়।
কিন্ত চতুর আব্দুল্লাহর পরিবার রিমার উপর আরো নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।এবং যৌতুকের আরো টাকার জন্য বেদম প্রহার করে। এ অবস্থায় জীবন বাঁচাতে রিমা আখতার তার দুধের শিশু কে নিয়ে শ্বশুর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ী চলে আসে।কিন্ত গত ৩১ আগষ্ট এক রাতে গ্রামের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে রিমা আখতার ও তার পিতা আব্দুর রশীদ কে ডেকে নেয়।সেখানে কৌশলে রিমা আখতারের কাছ থেকে জোর করে একটি তালাক নামায় স্বাক্ষর করে নেয়।রিমা আখতারের অভিযোগ এ সময় তার কাছ থেকে শিশু সন্তান কেও কেড়ে নিয়ে সেই সালিস থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়।অসহায় আব্দুর রশীদ ও তার মিয়ে এ অবস্থায় বাড়ী এসে বিচলিত হয়ে পড়েন।রিমা আখতার তার দুধের শিশু কে ফেরত চেয়ে গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও কেন প্রতিকার না পেয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর নওগাঁর পারিবারিক আদালতে একটি মামলা করেন।
রিমা আখতার বলেন আমার শিশু কে তারা আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।এদিকে শিশু কে কাছে না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রিমা আখতার ।অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ