ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ১৪, ১৮ ও ২৪’র নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে Logo নওগাঁর মান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক উল্টে চালক নিহত Logo বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন Logo একাদশে ভর্তি শুরু আজ,চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত Logo পাকিস্তানে বন্যার্তদের উদ্ধারকারী নৌকা উল্টে ৫জনের মৃত্যু Logo আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি : মোস্তফা Logo সুন্দরবনে অস্ত্রসহ ছোট সুমন বাহিনীর ৪ দস্যুসহ আটক ৬

ভাইয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে প্রাণ গেল আ. লীগ নেতার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহে আপন ভাইয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে মারা গেলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন (৫১)।

দীর্ঘদিন ধরেই দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিহত লিটনের কনিষ্ঠ ভাই মোজাম্মেল হক রাসেলের অভিযোগ, তার মেঝো ভাই মোশারফ হোসেন জুয়েল বড়ভাই লিটনের উপর লোকজন নিয়ে হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় জুয়েল লিটনের বুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে এক পর্যায়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এ সময় বড় ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জুয়েল তার পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে করোনা ইউনিটের সিসিইউ ইউনিটে মারা যান ড. সামিউল আলম লিটন।

জানা গেছে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের নিজ বাড়ীতে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বড় ভাই লিটন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কৃষিবিদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, কৃষিবিদ লিটনের সঙ্গে তার ভাই মোশারফ হোসেন জুয়েলের পূর্ব বিরোধের জেরে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছোট ভাই জুয়েল বড় ভাই লিটনকে মারতে আসলে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

লিটনের কনিষ্ঠ ভাই মোজাম্মেল হক রাসেলের অভিযোগ, মেঝো ভাই জুয়েল বড় ভাই লিটনের উপর গুলি চালালে সেই গুলি গায়ে না লাগলেও বুকে লাঠির আঘাতে লিটন মারাত্মকভাবে আহত হন। এরপর আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাইকে বাঁচাতে পারিনি। এই মৃত্যুর জন্য জুয়েল ও তার লকজনই দায়ী।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, দুই ভাইয়ের ঝগড়ার এক পর্যায়ে লিটন অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি ঘটে। অনেক দিন ধরেই তাদের দুই ভায়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। লাশ ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে লিটন মারা যান। তবে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সদ্য প্রয়াত কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মৃত ডা. সুলাইমানের বড় ছেলে। তিনি কৃষি ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ছিলেন।

গত এক যুগ ধরে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।

ট্যাগস

নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার

ভাইয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে প্রাণ গেল আ. লীগ নেতার

আপডেট সময় ১২:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহে আপন ভাইয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে মারা গেলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন (৫১)।

দীর্ঘদিন ধরেই দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিহত লিটনের কনিষ্ঠ ভাই মোজাম্মেল হক রাসেলের অভিযোগ, তার মেঝো ভাই মোশারফ হোসেন জুয়েল বড়ভাই লিটনের উপর লোকজন নিয়ে হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় জুয়েল লিটনের বুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে এক পর্যায়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এ সময় বড় ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জুয়েল তার পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে করোনা ইউনিটের সিসিইউ ইউনিটে মারা যান ড. সামিউল আলম লিটন।

জানা গেছে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের নিজ বাড়ীতে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বড় ভাই লিটন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কৃষিবিদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, কৃষিবিদ লিটনের সঙ্গে তার ভাই মোশারফ হোসেন জুয়েলের পূর্ব বিরোধের জেরে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছোট ভাই জুয়েল বড় ভাই লিটনকে মারতে আসলে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

লিটনের কনিষ্ঠ ভাই মোজাম্মেল হক রাসেলের অভিযোগ, মেঝো ভাই জুয়েল বড় ভাই লিটনের উপর গুলি চালালে সেই গুলি গায়ে না লাগলেও বুকে লাঠির আঘাতে লিটন মারাত্মকভাবে আহত হন। এরপর আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাইকে বাঁচাতে পারিনি। এই মৃত্যুর জন্য জুয়েল ও তার লকজনই দায়ী।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, দুই ভাইয়ের ঝগড়ার এক পর্যায়ে লিটন অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি ঘটে। অনেক দিন ধরেই তাদের দুই ভায়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। লাশ ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে লিটন মারা যান। তবে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সদ্য প্রয়াত কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মৃত ডা. সুলাইমানের বড় ছেলে। তিনি কৃষি ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ছিলেন।

গত এক যুগ ধরে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471