বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসময় ঘরে ওই দম্পতির ৫ বছর ও ১ বছর বয়সী ২ মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের নাম- স্বপন মোল্লা (৩২) ও তার স্ত্রী আকলিমা (২৭)।
স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, স্বপন তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করতেন। সকালে স্বপনের পাঁচ বছরের মেয়ে সাদিয়া ঘর থেকে বের হয়ে রাজিয়া নামে তার ফুফুকে জানায় মা কথা বলে না। পরে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে স্বপনের ঝুলন্ত এবং আকলিমার গলাকাটা মরদেহ দেখে চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ও স্বজনরা ছুটে আসেন। পরে স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামী-স্ত্রী দুজন মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত স্বপন মোল্লার ভাই কবির মোল্লা বলেন, আমার ভাইজি সাদিয়া এসে বলে তার মা কথা বলে না। আমি মনে করেছি আমার ভাই ও তার স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয় তেমন কিছু হয়তো ঘটেছে। পরে আমার এক চাচাতো বোন স্বপনের বাড়িতে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখে চিৎকার দিলে আমিসহ আশপাশের মানুষ ওই বাড়িতে ছুটে যাই।
নিহত আকলিমার বাবা ও স্বপনের শ্বশুর মো. আব্বাস বলেন, ফজরের সময় আমাকে খবর দিয়ে মেয়ের বাড়িতে আসতে বলা হয়। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার মেয়ের জামাই নিয়মিত কাজে যেত না। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তবে নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে নাকি অন্য কোনো কারণ আছে তা বুঝতে পারছি না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থলে স্বপন মোল্লা নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত এবং তার স্ত্রী আকলিমার গলাকাটা মরদেহ পেয়েছি। মরদেহর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়াও ডিবি পুলিশ রয়েছে, সিআইডির সদস্যরা আসবেন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কি ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।