কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করা হবে। পতিত স্বৈরাচার পেছন দিক দিয়ে এসে জনগণের অধিকার হরণ করার পাঁয়তারা করছে।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়, তারা ষড়যন্ত্র করছে। পিআর পদ্ধতি বেআইনি আবদার। সংবিধান ইচ্ছে করলেই ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া যায় না। আবেগী না হয়ে জনআকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে।
২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন তারেক রহমান। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা-দূরদর্শিতা এবং প্রজ্ঞার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই দলে নিজের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান গড়ে তোলেন। ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতা শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তথাকথিত দুর্নীতির মামলার আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় এবং তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ অভিযোগ ভিত্তিহীন হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে কিছু করা যাবে না বুঝতে পেরে কারাগারে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল ১/১১ সরকার হিসেবে পরিচিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্রীড়নকরা।