ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পিস হিসাবে কিনে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

 ডেক্স রিপোর্ট :কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় চটেছেন ক্রেতারা। সিন্ডিকেট করে পিস হিসাবে কিনে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

আর এতে ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়।

বৈশাখের খরতাপের মতোই আগুন লেগেছে তরমুজের বাজারে। চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

এমনিতেই করোনা মহামারিতে মানুষের আয় কম, তার মধ্যে তরমুজের দাম বাড়তি। এতে তরমুজ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই বলা চলে

গ্রীষ্মকালের গরমে তরমুজের চাহিদা থাকে আকাশচুম্বী। ক্রেতাদের এ দুবর্লতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পিস হিসেবে কিনে শহরের বিভিন্ন যায়গায় কেজিতে বিক্রি করছেন।

তরমুজ ক্রেতা মেহেদি হাসান রাব্বি জানান, এর আগে তরমুজ আমরা পিস হিসাবে কিনেছি। কিন্তু এবার বেশি টাকা লাভের আশায় কেজি দরে বিক্রি করছে। এত ভারি একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। তার মধ্যে এর খোসাই হয় এক থেকে দেড় কেজি।

ক্রেতা সুজন জানান, তরমুজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এ ফলটি। এরকম অতি মুনাফা লোভীদের আইনের আওতায় আনা হোক।

পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা শামীম জানান, সব জায়গায় এখন তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১৫ দিন আগেও কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন দামটা একটু বেশি।

জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ চাষি সুহানের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, এ বছর তরমুজ বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন। শতক (১০০) হিসেবে তরমুজ বিক্রি করেছেন।

১০ থেকে ১২ কেজির তরমুজের শতক তিনি ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আর ৫ থেকে ৭ কেজির তরমুজের শতক বিক্রি করেছেন ১৪-১৫ হাজার টাকায়।

রাঙ্গাবালীর আরেক তরমুজচাষি মো. কবির জানান, এবার ৭০ লাখ টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছেন। পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে শতক হিসেবে কিনে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাস জানান, এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

পিস হিসাবে কিনে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

আপডেট সময় ১১:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

 ডেক্স রিপোর্ট :কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় চটেছেন ক্রেতারা। সিন্ডিকেট করে পিস হিসাবে কিনে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

আর এতে ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়।

বৈশাখের খরতাপের মতোই আগুন লেগেছে তরমুজের বাজারে। চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

এমনিতেই করোনা মহামারিতে মানুষের আয় কম, তার মধ্যে তরমুজের দাম বাড়তি। এতে তরমুজ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই বলা চলে

গ্রীষ্মকালের গরমে তরমুজের চাহিদা থাকে আকাশচুম্বী। ক্রেতাদের এ দুবর্লতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পিস হিসেবে কিনে শহরের বিভিন্ন যায়গায় কেজিতে বিক্রি করছেন।

তরমুজ ক্রেতা মেহেদি হাসান রাব্বি জানান, এর আগে তরমুজ আমরা পিস হিসাবে কিনেছি। কিন্তু এবার বেশি টাকা লাভের আশায় কেজি দরে বিক্রি করছে। এত ভারি একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। তার মধ্যে এর খোসাই হয় এক থেকে দেড় কেজি।

ক্রেতা সুজন জানান, তরমুজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এ ফলটি। এরকম অতি মুনাফা লোভীদের আইনের আওতায় আনা হোক।

পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা শামীম জানান, সব জায়গায় এখন তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১৫ দিন আগেও কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন দামটা একটু বেশি।

জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ চাষি সুহানের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, এ বছর তরমুজ বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন। শতক (১০০) হিসেবে তরমুজ বিক্রি করেছেন।

১০ থেকে ১২ কেজির তরমুজের শতক তিনি ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আর ৫ থেকে ৭ কেজির তরমুজের শতক বিক্রি করেছেন ১৪-১৫ হাজার টাকায়।

রাঙ্গাবালীর আরেক তরমুজচাষি মো. কবির জানান, এবার ৭০ লাখ টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছেন। পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে শতক হিসেবে কিনে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাস জানান, এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471