ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহারা মিতু বললেন, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই স্বস্তি পাই

জাহারা মিতু

বড় পর্দায় অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন জাহারা মিতু। মূলত করোনাভাইরাসের কারণে তার এ অপেক্ষার পালা দীর্ঘতর হচ্ছে। আশার কথা হল, করোনার এ বাধা কাটিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। শুটিং ও লকডাউন পরবর্তী অন্যান্য ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল।

তা, লকডাউন পরবর্তী ব্যস্ততা কী নিয়ে?
করোনাভাইরাসের কারণে কাজ একেবারেই বন্ধ রেখেছিলাম। যেদিন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছিল সেদিনই আমি বাংলাদেশে আসি। লকডাউনের আগে কোলকাতায় দেবের বিপরীতে ‘কমান্ডো’ ছবির শুটিং করছিলাম। লকডাউন ঘোষণার পর শুটিং প্যাকআপ করে দেশে ফিরে আসি। ছবিটি একটা অ্যাকশন নির্ভর ছবি। সে জন্য আমাকে জিমসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ নিয়মিত চালিয়ে যেতে হয়েছে। আগামী মাস থেকে ‘কমান্ডো’ ছবির শুটিং শুরু হতে পারে। ছবিতে ভারতের বেশ কয়েকজন টেকিনিশিয়ান যুক্ত আছেন। তাই করোনার এই সময়ে বাংলাদেশে শুটিং খুব একটা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে দেশের বাইরে শুটিং হবে। সে কাজগুলোই এখন এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ঢালিউডের ছবির খবর কী?
ঢালিউডের ‘আগুন’ ছবিতে আমার অভিষেকের কথা ছিল সেটির কিছু কাজ বাকি আছে। ৯০ ভাগ কাজ হয়ে গেছে। গানগুলোর শুটিং বাকি আছে। আমার দিক থেকে ২/৩ দিনের শুটিং বাকি আছে। এছাড়া মোটামুটি সব কাজ শেষ। করোনার জন্য ছবিটির কাজ স্থগিত ছিল। শাকিব ভাই (শাকিব খান) করোনা পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু করেছেন। তার হাতে যে কাজ আছে সেগুলো গুছিয়ে এনে যদি এ ছবির জন্য শিডিউল দেন, তাহলে এর কাজও শুরু হয়ে যাবে।

শাকিব না দেব, কার সঙ্গে বড় পর্দায় নিজেকে আগে দেখতে চান?
হা. হা.. হা…। আমি আমাকেই আগে দেখতে চাই। শাকিব ও দেব, দুইজনই সুপারস্টার। আমার প্রথম ছবি শাকিবের সাথে, দ্বিতীয়টি দেবের সাথে। আমি চাচ্ছি বড় পর্দায় আমার অভিষেকটা হোক। সেটা যার হাত ধরেই হোক। তারা দুজনেই চলচ্চিত্র জগতে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন, সাদরে গ্রহণ করেছেন। এটাই বড় পাওয়া।

সহশিল্পী হিসেবে তাদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
শতভাগ সহযোগিতা পেয়েছি। শাকিব বলেন, দেব বলেন; দুজনের কাছ থেকেই সমর্থন পেয়েছি। আর একটা কথা কী, শাকিব ভাই আমাদের দেশের মানুষ। তার কাছ থেকে সহযোগিতা পাব এমন প্রত্যাশা তো ছিলই। এটা অধিকারও বলতে পারেন। দেব যেহেতু অন্য দেশের শিল্পী, তাই একটু হলেও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে কিংবা মানসিক একটা দূরত্ব থাকে। কিন্তু অন্য একটা দেশের মানুষের সাথে কাজ করছি সেটা শুটিং শুরুর পর মনেই আসেনি। দেবের সাথে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে আমার দেশের কারও সাথেই কাজ করছি। দুজনই বেশ কো-অপারেটিভ ছিলেন।

give your add here, Call: +880 1712 24 74 26

উপস্থাপনা, নাটক, চলচ্চিত্র- নিজের ভবিষ্যৎটা কোথায় দেখতে চান?
আমি সবসময় অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। সেটা ছোট হোক কিংবা বড় পর্দা, অভিনয়টাই মুখ্য। তবে উপস্থাপনা হচ্ছে আমার ভালোলাগার, স্বস্তির একটা জায়গা। খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে আমি এটা করতে পারি। কিন্তু অভিনয়ে এ অবস্থায় পৌঁছাতে আমাকে অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে মনে হয়, ৫ ভাগ পেরেছি, এখনো ৯৫ ভাগ বাকি। অভিনয় নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, অনেক কিছু শিখতে হবে।

অভিনয় আইডল কে?
একেক ক্ষেত্রে একেক ধরনের আইডল থাকে। বাংলাদেশে বলব শাবনূর আপা, শাবানা আপা, রোজিনা ম্যাডাম। অনেক ক্ষেত্রে নায়িকা ও অভিনেত্রী দুটি শব্দকে আলাদা করে দেখা হয়। কিন্তু আমি যে নামগুলো বললাম তারা একইসঙ্গে পরিপূর্ণ অভিনেত্রী এবং নায়িকাও। সবগুণই তাদের মধ্যে আছে।

অনেকেই উল্কার গতিতে এসে আবার নিভে যায়, তা আপনার ক্ষেত্রে…
টিকে থাকা না থাকা দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একটা হলো কাজের সুযোগ। আমাদের এখানে এখন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একই সাথে ভাগ্যটাও বড় একটা ব্যাপার। আমি চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছি বা মিডিয়ায় এসেছি পুরোটাই ভাগ্যের জোরে। কিন্তু আমার কখনই এমন লক্ষ্য ছিল না যে মিডিয়ায় কাজ করবো। সেটা উপস্থাপনা হোক কিংবা অভিনয়। আমার ভাগ্যই কীভাবে যেন আস্তে আস্তে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। একটা দুইটা কাজ করতে গিয়ে এটা নেশায় পরিণত হয়ে গেল। এখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই স্বস্তি পাই। ভাগ্য ও কাজের সুযোগ যার থাকে সেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।

ব্যক্তিগত জীবনে কী নিয়ে ব্যস্ত?
মূলত আমার মূল পেশা হলো ফ্যাশন ডিজাইনিং। মিডিয়াতে আসার আগে একটা কোম্পানিতে ডিজাইনিং ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছি। এখন চাকরি করা হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শো করার ইচ্ছে আছে। তাই এর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। নিত্য নতুন কী ফ্যাশন ট্রেন্ড আসছে প্রতিনিয়ত এর খুঁটিনাটি আমাকে অনুসরণ করতে হয়। এভাবেই সময় চলে যায়।

ট্যাগস

জাহারা মিতু বললেন, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই স্বস্তি পাই

আপডেট সময় ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

বড় পর্দায় অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন জাহারা মিতু। মূলত করোনাভাইরাসের কারণে তার এ অপেক্ষার পালা দীর্ঘতর হচ্ছে। আশার কথা হল, করোনার এ বাধা কাটিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। শুটিং ও লকডাউন পরবর্তী অন্যান্য ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল।

তা, লকডাউন পরবর্তী ব্যস্ততা কী নিয়ে?
করোনাভাইরাসের কারণে কাজ একেবারেই বন্ধ রেখেছিলাম। যেদিন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছিল সেদিনই আমি বাংলাদেশে আসি। লকডাউনের আগে কোলকাতায় দেবের বিপরীতে ‘কমান্ডো’ ছবির শুটিং করছিলাম। লকডাউন ঘোষণার পর শুটিং প্যাকআপ করে দেশে ফিরে আসি। ছবিটি একটা অ্যাকশন নির্ভর ছবি। সে জন্য আমাকে জিমসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ নিয়মিত চালিয়ে যেতে হয়েছে। আগামী মাস থেকে ‘কমান্ডো’ ছবির শুটিং শুরু হতে পারে। ছবিতে ভারতের বেশ কয়েকজন টেকিনিশিয়ান যুক্ত আছেন। তাই করোনার এই সময়ে বাংলাদেশে শুটিং খুব একটা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে দেশের বাইরে শুটিং হবে। সে কাজগুলোই এখন এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ঢালিউডের ছবির খবর কী?
ঢালিউডের ‘আগুন’ ছবিতে আমার অভিষেকের কথা ছিল সেটির কিছু কাজ বাকি আছে। ৯০ ভাগ কাজ হয়ে গেছে। গানগুলোর শুটিং বাকি আছে। আমার দিক থেকে ২/৩ দিনের শুটিং বাকি আছে। এছাড়া মোটামুটি সব কাজ শেষ। করোনার জন্য ছবিটির কাজ স্থগিত ছিল। শাকিব ভাই (শাকিব খান) করোনা পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু করেছেন। তার হাতে যে কাজ আছে সেগুলো গুছিয়ে এনে যদি এ ছবির জন্য শিডিউল দেন, তাহলে এর কাজও শুরু হয়ে যাবে।

শাকিব না দেব, কার সঙ্গে বড় পর্দায় নিজেকে আগে দেখতে চান?
হা. হা.. হা…। আমি আমাকেই আগে দেখতে চাই। শাকিব ও দেব, দুইজনই সুপারস্টার। আমার প্রথম ছবি শাকিবের সাথে, দ্বিতীয়টি দেবের সাথে। আমি চাচ্ছি বড় পর্দায় আমার অভিষেকটা হোক। সেটা যার হাত ধরেই হোক। তারা দুজনেই চলচ্চিত্র জগতে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন, সাদরে গ্রহণ করেছেন। এটাই বড় পাওয়া।

সহশিল্পী হিসেবে তাদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
শতভাগ সহযোগিতা পেয়েছি। শাকিব বলেন, দেব বলেন; দুজনের কাছ থেকেই সমর্থন পেয়েছি। আর একটা কথা কী, শাকিব ভাই আমাদের দেশের মানুষ। তার কাছ থেকে সহযোগিতা পাব এমন প্রত্যাশা তো ছিলই। এটা অধিকারও বলতে পারেন। দেব যেহেতু অন্য দেশের শিল্পী, তাই একটু হলেও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে কিংবা মানসিক একটা দূরত্ব থাকে। কিন্তু অন্য একটা দেশের মানুষের সাথে কাজ করছি সেটা শুটিং শুরুর পর মনেই আসেনি। দেবের সাথে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে আমার দেশের কারও সাথেই কাজ করছি। দুজনই বেশ কো-অপারেটিভ ছিলেন।

give your add here, Call: +880 1712 24 74 26

উপস্থাপনা, নাটক, চলচ্চিত্র- নিজের ভবিষ্যৎটা কোথায় দেখতে চান?
আমি সবসময় অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। সেটা ছোট হোক কিংবা বড় পর্দা, অভিনয়টাই মুখ্য। তবে উপস্থাপনা হচ্ছে আমার ভালোলাগার, স্বস্তির একটা জায়গা। খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে আমি এটা করতে পারি। কিন্তু অভিনয়ে এ অবস্থায় পৌঁছাতে আমাকে অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে মনে হয়, ৫ ভাগ পেরেছি, এখনো ৯৫ ভাগ বাকি। অভিনয় নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, অনেক কিছু শিখতে হবে।

অভিনয় আইডল কে?
একেক ক্ষেত্রে একেক ধরনের আইডল থাকে। বাংলাদেশে বলব শাবনূর আপা, শাবানা আপা, রোজিনা ম্যাডাম। অনেক ক্ষেত্রে নায়িকা ও অভিনেত্রী দুটি শব্দকে আলাদা করে দেখা হয়। কিন্তু আমি যে নামগুলো বললাম তারা একইসঙ্গে পরিপূর্ণ অভিনেত্রী এবং নায়িকাও। সবগুণই তাদের মধ্যে আছে।

অনেকেই উল্কার গতিতে এসে আবার নিভে যায়, তা আপনার ক্ষেত্রে…
টিকে থাকা না থাকা দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একটা হলো কাজের সুযোগ। আমাদের এখানে এখন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একই সাথে ভাগ্যটাও বড় একটা ব্যাপার। আমি চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছি বা মিডিয়ায় এসেছি পুরোটাই ভাগ্যের জোরে। কিন্তু আমার কখনই এমন লক্ষ্য ছিল না যে মিডিয়ায় কাজ করবো। সেটা উপস্থাপনা হোক কিংবা অভিনয়। আমার ভাগ্যই কীভাবে যেন আস্তে আস্তে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। একটা দুইটা কাজ করতে গিয়ে এটা নেশায় পরিণত হয়ে গেল। এখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই স্বস্তি পাই। ভাগ্য ও কাজের সুযোগ যার থাকে সেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।

ব্যক্তিগত জীবনে কী নিয়ে ব্যস্ত?
মূলত আমার মূল পেশা হলো ফ্যাশন ডিজাইনিং। মিডিয়াতে আসার আগে একটা কোম্পানিতে ডিজাইনিং ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছি। এখন চাকরি করা হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শো করার ইচ্ছে আছে। তাই এর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। নিত্য নতুন কী ফ্যাশন ট্রেন্ড আসছে প্রতিনিয়ত এর খুঁটিনাটি আমাকে অনুসরণ করতে হয়। এভাবেই সময় চলে যায়।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471