দুই হাসপাতালের মধ্যে মোহাম্মদ আলীতে অক্সিজেন সরবরাহ করে স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটিতে তরল অক্সিজেন সংরক্ষণের ট্যাংক ১৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার।
ট্যাংকে অক্সিজেন ২ হাজার লিটারে নামলেই দ্রুততম সময়ে স্পেকট্রার মানিকগঞ্জ কারখানা থেকে ১১ হাজার লিটার করে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ২৪ জুন পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১১ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন ট্যাংকে দেওয়া হলে তা দিয়ে এক মাস চলত। কিন্তু হাসপাতালে রোগী বেড়ে যাওয়ায় এখন এক সপ্তাহেই ১১ হাজার লিটার অক্সিজেন ট্যাংকে সরবরাহ করতে হচ্ছে।
হাসপাতালটির প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের সিলিন্ডারের অক্সিজেন সরবরাহ করা হতো। পরে হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়। হাসপাতালে চারটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে। তবে চালুর অভাবে এর দুটি বাক্সবন্দী হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে সিংহভাগ রোগীকে নন–রি–ব্রিদার মাস্ক দিয়ে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ১০০টি শয্যায় ১০০ জন রোগীই ভর্তি ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ আরও ১০০টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া অঞ্চলের কর্মকর্তা হাসিন রশীদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেছেন, জেলায় করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেনের সংকট নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত আছে।