জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার রুদ্র বয়রা গ্রামের মেয়ে করনা বেগম (৩০) তার স্বামী আব্দুর রশিদ। স্বামী-স্ত্রী দুজনই গামেন্টস কর্মী। কাজ করতেন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায়।
করনা বেগম বৃহস্প্রতিবার সকালে মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে মায়ের লাশ শেষ বারের মতো দেখার জন্য স্বামী-স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গাজীপুর থেকে বাড়ির উদ্যেশে রওনা দেন। কিন্ত যন্ত্রদানব ট্রাক মায়ের লাশ দেখার আগেই তার প্রাণ কেড়ে নিল। পরে নিজেই লাশ হয়ে ফিরলেন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মধুপুর-গারোবাজার রোডের সলিংবাজারের সামনে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষে মারা যান করনা বেগম। এ ঘটনায় মারা যানা তার ননদ শাহিনা বেগম (২২)। আহত হন করনা বেগমের স্বামীসহ আরো পাঁচ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. জাকির হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে গাজীপুর নিহত করনা বেগম ও তার পরিবারের লোকজনকে বহন করা সিএনজিটি ঘাটাইল উপজেলার সলিংবাজার এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফলে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই করনা বেগম মারা যান। তার ননদ শাহিনা বেগম মারা যান স্থানীয় একটি ক্লিনিকে। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ আহত হয়েছে আরো পাঁচজন। আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রাকসহ চালককে আটক করেছে পুলিশ।
ঘাটাইল সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. জাকির হোসেন বলেন, ট্রাকসহ চালককে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।