ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ১৪, ১৮ ও ২৪’র নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে Logo নওগাঁর মান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক উল্টে চালক নিহত Logo বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন Logo একাদশে ভর্তি শুরু আজ,চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত Logo পাকিস্তানে বন্যার্তদের উদ্ধারকারী নৌকা উল্টে ৫জনের মৃত্যু Logo আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি : মোস্তফা Logo সুন্দরবনে অস্ত্রসহ ছোট সুমন বাহিনীর ৪ দস্যুসহ আটক ৬

স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

 আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে অভিযুক্ত আলমগীর জেলার ফরিদপুর উপজেলার শাকপালা গ্রামের তাজবিনা খাতুনকে (২৮) বিয়ে করেন। বিবাহিত জীবনের ১০ বছরে তাঁদের একটি মেয়ে (৬) ও একটি ছেলে (২) ছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালে আলমগীর দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
এ সময় সন্তানদের জন্য তাজবিনা সংসার রক্ষার চেষ্টা করেন। এ সুযোগে আলমগীর স্ত্রীর পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাজবিনার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আলমগীর সন্তানদের সামনে তাঁর স্ত্রী তাজবিনাকে শ্বাসরোধে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন।

ঘটনার দিনই নিহত ব্যক্তির ভাই সবুজ হোসেন বাদী হয়ে আলমগীরকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে আলমগীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে মামলার বাকি সাত আসামিকে খালাস দেন।

মামলায় সরকারপক্ষে আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আবদুর রকিব রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত আলমগীরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্যাগস

নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
 আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে অভিযুক্ত আলমগীর জেলার ফরিদপুর উপজেলার শাকপালা গ্রামের তাজবিনা খাতুনকে (২৮) বিয়ে করেন। বিবাহিত জীবনের ১০ বছরে তাঁদের একটি মেয়ে (৬) ও একটি ছেলে (২) ছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালে আলমগীর দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
এ সময় সন্তানদের জন্য তাজবিনা সংসার রক্ষার চেষ্টা করেন। এ সুযোগে আলমগীর স্ত্রীর পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাজবিনার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আলমগীর সন্তানদের সামনে তাঁর স্ত্রী তাজবিনাকে শ্বাসরোধে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন।

ঘটনার দিনই নিহত ব্যক্তির ভাই সবুজ হোসেন বাদী হয়ে আলমগীরকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে আলমগীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে মামলার বাকি সাত আসামিকে খালাস দেন।

মামলায় সরকারপক্ষে আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আবদুর রকিব রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত আলমগীরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471