ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

দুই বছরের শিশুর শ্বাসনালীতে পৌনে ৩ ইঞ্চির পেরেক

ডেক্স রিপোর্ট :সাত সেন্টিমিটার বা পৌনে তিন ইঞ্চির আস্ত একটি পেরেক গিলে ফেলেছিল দু’ বছরের শিশু। ২১ ঘণ্টা আটকে ছিল শ্বাসনালীতে। শিশুটিকে বাঁচানো যাবে কিনা, তা নিয়ে রীতিমতো উৎকণ্ঠায় ছিলেন শিশুর পরিবারের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় মৃত্যু হাত থেকে বেঁচে ফিরে এল দুধের শিশুটি। বিরল অস্ত্রোপচারে এ যেন নবজন্ম লাভ হল। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল মুস্তাকিন আলি। ঘরে ফেরার পর থেকেই বমি করতে থাকে সে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখনই বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়, কিছু একটা খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছে মুস্তাকিন। কিন্তু সেটা কী হতে পারে, সেই বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না মুস্তাকিনের পরিবারের লোকেরা।

সঙ্গে সঙ্গে মুস্তাকিনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রায়গঞ্জ হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে শিশুটির শ্বাসনালিতে আটকে রয়েছে ৭ সেন্টিমিটারের মরচে ধরা পেরেক। কিন্তু সেই পেরেক বের করতে পারেননি সেখানকার চিকিৎসকরা। আস্তে আস্তে শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। ক্রমাগত বমি করতে থাকে মুস্তাকিন। শেষ পর্যন্ত মায়ের কোলে ঢোলে পড়ে সে। কিন্তু তাতে হাল ছাড়েনি মুস্তাকিনের পরিবারের লোকেরা।

রবিবার খুব ভোরে এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে পৌঁছায় তারা। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ও দ্রুত অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। অবশেষে এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগের তত্বাবধানে শিশুটি প্রাণ ফিরে পেল।

প্রসঙ্গে এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ সুদীপ্তা মিত্র বলেন, ‘ওকে আমাদের কাছে রবিবার ভোরে আনা হয়েছিল। ওর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ থেকে ৯৫ এর বেশি উঠছিল না। সঙ্গে সঙ্গে ওটির ব্যবস্থা করে ইমার্জেন্সি রিজিড বায়োস্কোপি করা হয় ও পেরেকটিকে বের করা হয়। এখন বাচ্চাটি অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

এর আগেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিরল নজির রেখেছিল এসএসকেএম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে এক তরুণীর লোহার রড ঢুকে গিয়েছিল। রড ঢুকে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল। তখন তরুণীকে অস্ত্রোপচার করে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি একটি কিশোরীর গলায় সুই ঢুকে গিয়েছিল। ফুসফুসের লোয়ার ল্যাবে তা আটকে গিয়েছিল। বায়োস্কোপি করে সেই আটকে থাকা সুই বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

দুই বছরের শিশুর শ্বাসনালীতে পৌনে ৩ ইঞ্চির পেরেক

আপডেট সময় ১১:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

ডেক্স রিপোর্ট :সাত সেন্টিমিটার বা পৌনে তিন ইঞ্চির আস্ত একটি পেরেক গিলে ফেলেছিল দু’ বছরের শিশু। ২১ ঘণ্টা আটকে ছিল শ্বাসনালীতে। শিশুটিকে বাঁচানো যাবে কিনা, তা নিয়ে রীতিমতো উৎকণ্ঠায় ছিলেন শিশুর পরিবারের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় মৃত্যু হাত থেকে বেঁচে ফিরে এল দুধের শিশুটি। বিরল অস্ত্রোপচারে এ যেন নবজন্ম লাভ হল। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল মুস্তাকিন আলি। ঘরে ফেরার পর থেকেই বমি করতে থাকে সে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখনই বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়, কিছু একটা খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছে মুস্তাকিন। কিন্তু সেটা কী হতে পারে, সেই বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না মুস্তাকিনের পরিবারের লোকেরা।

সঙ্গে সঙ্গে মুস্তাকিনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রায়গঞ্জ হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে শিশুটির শ্বাসনালিতে আটকে রয়েছে ৭ সেন্টিমিটারের মরচে ধরা পেরেক। কিন্তু সেই পেরেক বের করতে পারেননি সেখানকার চিকিৎসকরা। আস্তে আস্তে শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। ক্রমাগত বমি করতে থাকে মুস্তাকিন। শেষ পর্যন্ত মায়ের কোলে ঢোলে পড়ে সে। কিন্তু তাতে হাল ছাড়েনি মুস্তাকিনের পরিবারের লোকেরা।

রবিবার খুব ভোরে এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে পৌঁছায় তারা। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ও দ্রুত অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। অবশেষে এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগের তত্বাবধানে শিশুটি প্রাণ ফিরে পেল।

প্রসঙ্গে এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ সুদীপ্তা মিত্র বলেন, ‘ওকে আমাদের কাছে রবিবার ভোরে আনা হয়েছিল। ওর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ থেকে ৯৫ এর বেশি উঠছিল না। সঙ্গে সঙ্গে ওটির ব্যবস্থা করে ইমার্জেন্সি রিজিড বায়োস্কোপি করা হয় ও পেরেকটিকে বের করা হয়। এখন বাচ্চাটি অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

এর আগেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিরল নজির রেখেছিল এসএসকেএম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে এক তরুণীর লোহার রড ঢুকে গিয়েছিল। রড ঢুকে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল। তখন তরুণীকে অস্ত্রোপচার করে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি একটি কিশোরীর গলায় সুই ঢুকে গিয়েছিল। ফুসফুসের লোয়ার ল্যাবে তা আটকে গিয়েছিল। বায়োস্কোপি করে সেই আটকে থাকা সুই বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471