ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ১৪, ১৮ ও ২৪’র নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে Logo নওগাঁর মান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক উল্টে চালক নিহত Logo বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন Logo একাদশে ভর্তি শুরু আজ,চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত Logo পাকিস্তানে বন্যার্তদের উদ্ধারকারী নৌকা উল্টে ৫জনের মৃত্যু Logo আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি : মোস্তফা Logo সুন্দরবনে অস্ত্রসহ ছোট সুমন বাহিনীর ৪ দস্যুসহ আটক ৬

ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায়

দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে আরও ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার চরাঞ্চল সুতিয়াখালিতে ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব এ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে ব্যবহৃত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এই প্রকল্পে।

২০১৪ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক চড়াই-উৎরাই শেষে ২০১৬ সালের শেষ দিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘বাস্তবায়ন চুক্তি’ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ স্বাক্ষরের পর ২০১৭ সালে ‘সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’ নামে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়।

প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ জুনের মধ্যেই উৎপাদন শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজে জড়িত চীনা প্রকৌশলীরা নববর্ষের ছুটিতে দেশে যাওয়ায় পর করোনা দুর্যোগের কারণে সময়মতো ফিরে না আসায় সোলার প্লেট বসানো ও সংযোগ প্রদানের কাজ বিলম্ব হয়।

এছাড়া স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি আর কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রকল্পের কাজে বিঘ্নের সৃষ্টি করে। তবে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তড়িৎ হস্তক্ষেপের ফলে সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

প্রকল্প পরিচালক ও পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলার সুতিয়াখালির চরাঞ্চলে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের অধীনে অফিস ভবন, ব্রহ্মপুত্রের নদী শাসন বাঁধ, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোলার প্লেট বসানো, দশটি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ প্রদান, সাব-স্টেশনসহ ১৩২ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ, কেওয়াটখালীর জাতীয় গ্রিড লাইন পর্যন্ত চার কিলোমিটার আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন এবং এক কিলোমিটার ওভারহেড ট্রান্সমিশন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এখন ইকুইপমেন্ট টেস্টিং ও কমিশনিংয়ের পর পরীক্ষামূলক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু এবং গ্রিডে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।

এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের সব নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশে চলমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ও মেগা প্রকল্প।

পরিবেশবান্ধব এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত চীনা প্রকৌশলীরা জানুয়ারিতে বর্ষবরণ করতে দেশে যাওয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের ফিরতে দেরি হওয়ায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে বিলম্ব হয়। করোনা মহামারি না থাকলে আরও ৬ মাস আগেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হত।

ট্যাগস

নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায়

আপডেট সময় ০৫:০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে আরও ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার চরাঞ্চল সুতিয়াখালিতে ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব এ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে ব্যবহৃত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এই প্রকল্পে।

২০১৪ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক চড়াই-উৎরাই শেষে ২০১৬ সালের শেষ দিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘বাস্তবায়ন চুক্তি’ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ স্বাক্ষরের পর ২০১৭ সালে ‘সুতিয়াখালি ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’ নামে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়।

প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ জুনের মধ্যেই উৎপাদন শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজে জড়িত চীনা প্রকৌশলীরা নববর্ষের ছুটিতে দেশে যাওয়ায় পর করোনা দুর্যোগের কারণে সময়মতো ফিরে না আসায় সোলার প্লেট বসানো ও সংযোগ প্রদানের কাজ বিলম্ব হয়।

এছাড়া স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি আর কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রকল্পের কাজে বিঘ্নের সৃষ্টি করে। তবে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তড়িৎ হস্তক্ষেপের ফলে সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

প্রকল্প পরিচালক ও পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলার সুতিয়াখালির চরাঞ্চলে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের অধীনে অফিস ভবন, ব্রহ্মপুত্রের নদী শাসন বাঁধ, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোলার প্লেট বসানো, দশটি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ প্রদান, সাব-স্টেশনসহ ১৩২ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ, কেওয়াটখালীর জাতীয় গ্রিড লাইন পর্যন্ত চার কিলোমিটার আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন এবং এক কিলোমিটার ওভারহেড ট্রান্সমিশন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এখন ইকুইপমেন্ট টেস্টিং ও কমিশনিংয়ের পর পরীক্ষামূলক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু এবং গ্রিডে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।

এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের সব নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশে চলমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ও মেগা প্রকল্প।

পরিবেশবান্ধব এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত চীনা প্রকৌশলীরা জানুয়ারিতে বর্ষবরণ করতে দেশে যাওয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের ফিরতে দেরি হওয়ায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে বিলম্ব হয়। করোনা মহামারি না থাকলে আরও ৬ মাস আগেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হত।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471