ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারকে ইটভাটাই থাকতে বললেন চেয়ারম্যান

ফাইল ফটো

স্টাফ রিপোর্টারঃ  সোমবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে  বিষয়টি জানান ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর রিফফাত আরা। এর আগে, ঘটনাটি ঘটে ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের মাদারপুর এলাকায়।

ভুক্তভোগী স্বাস্থ্যকর্মী  বলেন, আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করি বিধায় চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন আমাকে এলাকায় ঢুকতে দেয় না।

রোববার (১৯ এপ্রিল) বাড়িতে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় না। চেয়ারম্যান বলে আমিসহ আমার পরিবার যেনো ইটভাটাই গিয়ে থাকি।

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি  বলেন, আমার ঘরে বাবা ও মা দুইজনেই হার্টের রোগী। সব সময় ওষুধ লাগে তাদের। এ অবস্থায় কাউকে জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। বর্তমানে আমার পরিবারকে খুব চাপের মুখে রেখেছে তারা।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর রিফফাত আরা জানান, ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গার্ডেনার (মালি) দীর্ঘদিন ধরে তাদের এখানে কাজ করেন।

হাসপাতালে কাজ করে বিধায় এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার তাকে বাড়ি ছাড়তে বলে তার পরিবারকে আবদ্ধ করে বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে রেখেছিলো কয়েকদিন ধরে।

কিন্তু আজ সেই স্টাফকে এলাকায় থাকতে দিবে না বলে তার পরিবারকে ইটেরভাটায় থাকার জন্য তারা নির্দেশ দেন তারা।তিনি আরও বলেন, এ খবর পেয়ে আমি আমার স্টাফকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। কিন্তু তার পরিবার এখনো অবরুদ্ধ করে রেখেছে জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমার সেই স্টাফের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। তবুও কিভাবে উপজেলার নির্দেশ ছাড়া চেয়ারম্যানরা এভাবে একজনের বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

বিষয়টি অস্বীকার করে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি আসলে সেভাবে কিছু বলিনি। ওই পরিবারসহ এলাকাবাসীর সুরক্ষার জন্য তাকে আলাদা ঘর অথবা অন্য কোথাও থাকার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

ট্যাগস

স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারকে ইটভাটাই থাকতে বললেন চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৪:০৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  সোমবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে  বিষয়টি জানান ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর রিফফাত আরা। এর আগে, ঘটনাটি ঘটে ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের মাদারপুর এলাকায়।

ভুক্তভোগী স্বাস্থ্যকর্মী  বলেন, আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করি বিধায় চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন আমাকে এলাকায় ঢুকতে দেয় না।

রোববার (১৯ এপ্রিল) বাড়িতে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় না। চেয়ারম্যান বলে আমিসহ আমার পরিবার যেনো ইটভাটাই গিয়ে থাকি।

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি  বলেন, আমার ঘরে বাবা ও মা দুইজনেই হার্টের রোগী। সব সময় ওষুধ লাগে তাদের। এ অবস্থায় কাউকে জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। বর্তমানে আমার পরিবারকে খুব চাপের মুখে রেখেছে তারা।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর রিফফাত আরা জানান, ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গার্ডেনার (মালি) দীর্ঘদিন ধরে তাদের এখানে কাজ করেন।

হাসপাতালে কাজ করে বিধায় এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার তাকে বাড়ি ছাড়তে বলে তার পরিবারকে আবদ্ধ করে বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে রেখেছিলো কয়েকদিন ধরে।

কিন্তু আজ সেই স্টাফকে এলাকায় থাকতে দিবে না বলে তার পরিবারকে ইটেরভাটায় থাকার জন্য তারা নির্দেশ দেন তারা।তিনি আরও বলেন, এ খবর পেয়ে আমি আমার স্টাফকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। কিন্তু তার পরিবার এখনো অবরুদ্ধ করে রেখেছে জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমার সেই স্টাফের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। তবুও কিভাবে উপজেলার নির্দেশ ছাড়া চেয়ারম্যানরা এভাবে একজনের বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

বিষয়টি অস্বীকার করে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি আসলে সেভাবে কিছু বলিনি। ওই পরিবারসহ এলাকাবাসীর সুরক্ষার জন্য তাকে আলাদা ঘর অথবা অন্য কোথাও থাকার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471