সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করে নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ নির্দেশনা কার্যকরের আগমুহূর্তে আটকে দিয়েছেন এক বিচারক।বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত এ আদেশের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারক। এর আগে মঞ্জুরি পাচ্ছিলেন এমন ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোর একটি দল এ বিষয়ে মামলা করেছিলেন। মামলায় অনুমোদন হওয়া তহবিল সাময়িকভাবে স্থগিত করে হোয়াইট হাউস আইন লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রেসিডেন্টের আদেশ কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আদালতের নির্দেশনা এসেছে। তবে প্রেসিডেন্টের এ আদেশে কোন কোন সংস্থা বা কর্মসূচির ওপর প্রযোজ্য হবে তা নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছিল।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের (ওএমবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ম্যাথিউ ভেথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার জন্য ফেডারেল অর্থায়ন পর্যালোচনা করতে এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, যেসব নীতি প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার বিপরীত সেসব ক্ষেত্রে ফেডারেল সম্পদের ব্যবহার করদাতাদের অর্থের অপচয়। এগুলো জনকল্যাণে কোনো ধরনের ভূমিকা রাখে না। ফলে এসব অনুদান ও ঋণ স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদেশে দাবি করা হয়, ২০২৪ অর্থবছরে ফেডারেল সরকার প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এর মধ্যে তিন ট্রিলিয়নের বেশি অর্থ অনুদান ও ঋণ আর্থিক সহায়তা হিসেবে ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) সরকারি ব্যয়ে ৬ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার উল্লেখ করেছে। ফলে ওএমবি আর সিবিওর হিসাবে অনেক গরমিল রয়েছে। এগুলো স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
এর আগে গত সপ্তাহে এক নির্বাহী আদেশে বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচি বাতিল করেন ট্রাম্প।সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, বিদেশি সহায়তা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা বা চিকিৎসা সেবার অর্থ, খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার মতো ব্যক্তিগত সহায়তা এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। তার এমন সিদ্ধান্তকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর এবং অভূতপূর্ব’ বলে মন্তব্য করেছেন সিনেটর প্যাটি মারে এবং কংগ্রেসম্যান রোজ ডিলাউরো। তারা ‘কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ’ আটকে দেওয়ায় বিষয়টিকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।