ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তর গাজায় ফিরেছেন তিন লাখের বেশি ফিলিস্তিনি

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সোমবার গাজা উপত্যকায় ফিরেছেন ৩ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজার এই বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এতদিন উপত্যকার দক্ষিন ও মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৪৭০ দিন পর নিজেদের বাড়িতঘরে ফিরছেন তারা।”

ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উত্তর গাজায় এখন কোনো বাড়িঘরই অক্ষত নেই। কিন্তু তারপরও প্রায় ১৫ মাস পর নিজেদের এলাকায় ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত উত্তর গাজার বাসিন্দারা। দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরে যাত্রা করা এই মানুষগুলো ফিরে পেয়েছেন কেবল ধ্বংসস্তূপ আর অনিশ্চয়তা। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, মাটিতে প্রয়োজনীয়তার পরিমাণ অপ্রতিরোধ্য এবং অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।

সোমবার সকাল থেকেই নেৎজারিম করিডোর দিয়ে উত্তর গাজায় আসতে শুরু করেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অনেকেই ঘোড়া কিংবা গাধার গাড়িতে নিজেদের মালপত্র নিয়ে আসেন। উত্তর গাজার কেন্দ্রীয় শহর গাজা সিটির প্রধান সড়কের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে ‘গাজায় স্বাগতম’ লেখা ব্যানার টাঙানো ছিল এ সময়।

২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সে অভিযানে নিহত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১২ হাজার জন এবং গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের ব্যাপক ও বিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতার জেরে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারাও ফেরা শুরু করেছেন।

গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। মানবিক সাহায্য এবং শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের এখন জরুরি প্রয়োজন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই মানুষদের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র : এএফপি,আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা

ট্যাগস

উত্তর গাজায় ফিরেছেন তিন লাখের বেশি ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ১২:১৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সোমবার গাজা উপত্যকায় ফিরেছেন ৩ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজার এই বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এতদিন উপত্যকার দক্ষিন ও মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৪৭০ দিন পর নিজেদের বাড়িতঘরে ফিরছেন তারা।”

ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উত্তর গাজায় এখন কোনো বাড়িঘরই অক্ষত নেই। কিন্তু তারপরও প্রায় ১৫ মাস পর নিজেদের এলাকায় ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত উত্তর গাজার বাসিন্দারা। দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরে যাত্রা করা এই মানুষগুলো ফিরে পেয়েছেন কেবল ধ্বংসস্তূপ আর অনিশ্চয়তা। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, মাটিতে প্রয়োজনীয়তার পরিমাণ অপ্রতিরোধ্য এবং অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।

সোমবার সকাল থেকেই নেৎজারিম করিডোর দিয়ে উত্তর গাজায় আসতে শুরু করেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অনেকেই ঘোড়া কিংবা গাধার গাড়িতে নিজেদের মালপত্র নিয়ে আসেন। উত্তর গাজার কেন্দ্রীয় শহর গাজা সিটির প্রধান সড়কের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে ‘গাজায় স্বাগতম’ লেখা ব্যানার টাঙানো ছিল এ সময়।

২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সে অভিযানে নিহত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১২ হাজার জন এবং গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের ব্যাপক ও বিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতার জেরে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারাও ফেরা শুরু করেছেন।

গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। মানবিক সাহায্য এবং শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের এখন জরুরি প্রয়োজন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই মানুষদের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র : এএফপি,আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা