ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমির দায়ে চার ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও কোরআন সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অভিযুক্তের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের দিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইসলাম কিংবা এর ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা করলে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ কখনো এ ধরনের শাস্তি কার্যকর করেনি।
রাওয়ালপিন্ডির বিচারক তারিক আইয়ুব বলেন, ‘ধর্ম, পবিত্র ব্যক্তিত্ব ও কোরআন অবমাননার মতো অপরাধগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এসব অপরাধে কাউকে রেহাই দেওয়ার সুযোগ নেই।’
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৬ লাখ পাকিস্তানি রুপির সম্মিলিত জরিমানাও ধার্য করেছেন এই বিচারক। এ ছাড়া যদি উচ্চ আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেন, তবে প্রত্যেক আসামিকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও রায় দিয়েছেন তিনি।
আসামিদের আইনজীবী মঞ্জুর রহমানি এই রায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘এ ধরনের মামলায় যে সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তা আদালত উপেক্ষা করেছেন। সম্ভবত আসামির মুক্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিক্রিয়া ও বিচারকের বিরুদ্ধে জনগণের সহিংসতার ভয়ের কারণে।’
১৯৮০ সাল থেকে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন চালু রয়েছে। তখন থেকেই পাকিস্তানের মানুষেরা ইসলাম অবমাননা, ধর্মগ্রন্থের অবমাননা বা মসজিদের দেয়ালে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, আইনটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।