গতবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুবাদের এশিয়া কাপ জেতা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবারের আসরেও শুরু থেকেই খেলেছে দুর্দান্ত। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের দুইটিতে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে লাল-সবুজের দল। শেষ চারে পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট কাটা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ভারতকে।
শিরোপা নির্ধারণী এ ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতকে ৩৫.১ ওভারে ৬০ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৯৮ রানের সংগ্রহ গড়ার পর জিততে হলে টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্ম করতেই হতো। সে দায়িত্বটা দারুণভাবেই পালন করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।দলীয় ২৪ রানেই মারুফ মৃধার বলে আউট হন বৈভব। এর আগেই অবশ্য, ভারতের আরও এক উইকেট তুল নিয়েছিলেন আল ফাহাদ। তার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন ভারতের আরেক ওপেনার আয়ুশ মাত্রে।
ইমনের তোপে ৮১ রানেই ৬ উইকেট হারায় ভারতীয়রা।এদিকে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। তবে ভারতের অধিনায়ককে ইনিংস বড় করতে দেননি টাইগারদের অধিনায়ক তামিম। তামিমের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাজঘরে ফিরেন আমান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও খেলেছেন তিনিই। আমানের আগে আরও এক উইকেট হারিয়েছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রান করেই ভারত অলআউট হলেও ৬০ রানের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে টাইগার যুবাদের শুরুটা ভালো হয়নি আজ। দলীয় ১৭ রানেই আউট হন ওপেনার কালাম সিদ্দীকি। ১৬ বলে ১ রান করে আউট হন কালাম। এরপর আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার আউট হন ২০ রান করে।এদিকে চলমান টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন অধিনায়ক তামিম, এক ম্যাচে করেছেন সেঞ্চুরিও, তবে আজ হাসেনি তার ব্যাট। দলীয় ৪১ রানে জাওয়াদ আউট হওয়ার পর তামিমও আউট হন দ্রুতই। ২৮ বলে ১৬ রান করে দলীয় ৬৬ রানে আউট হন তামিম। এরপর দলের হাল ধরেন রিজন হোসেন ও মোহাম্মদ শিহাব জেমস।
এ দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫২ রানের জুটি। ভারতীয় বোলারদের সামলে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন জেমস, তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ১০ রান দূরে থাকতেই আউট হন তিনি। এদিকে জেমস ফিরলেও দলের সংগ্রহ বাড়াচ্ছিলেন রিজন, তিনিও ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে।
তবে জেমসের মতোই ফিফটি মিস করেছেন রিজন, ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হন তিনি। রিজনের পর ফরিদ হাসান ছাড়া আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। সাত নম্বরে নেমে ফরিদ খেলেছেন ৪৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। ১৯৭ রানে ফরিদ আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৮ রানে।