ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার হরণকারী, সংবিধান লঙ্ঘনকারী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে ‘জনগণের ভোটাধিকার’ নিশ্চিত করা অর্থাৎ সাংবিধানিক চেতনায় রাষ্ট্রকে পুনর্বহাল করাই এখন প্রধান ‘এজেন্ডা’।
ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে যে গভীরতম জাতীয় সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তাকে পুনরুদ্ধার করার অন্যতম পন্থা হচ্ছে ‘জাতীয় সরকার’। জাতীয় জীবনে গভীর শাসনতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় সরকারের পন্থাই অনুসরণ করতে হয়। গণবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বিজয়ী শক্তির নেতৃত্বেই ‘জাতীয় সরকার’ গঠিত হবে।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় আজ সভাপতিত্ব করেন জেএসডির ঢাকা বিভাগের সমন্বয়কারী, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। বক্তব্য রাখেন জেএসডি স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, মতিউর রহমান মতি (টাঙ্গাইল জেলা), ইউসুফ সিরাজ খান মিন্টু (টাকা জেলা), অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান (নারায়নগঞ্জ জেলা), মাস্টার আব্দুল মোতালেব (নারায়ণগঞ্জ মহানগর), খোরশেদ আলম (নরসিংদী জেলা), মোঃ রহিম উল্লাহ (গাজীপুর জেলা), ডাক্তার কাজী মোসলেম উদ্দিন (মানিকগঞ্জ জেলা), নুরুল আমিন (শরীয়তপুর জেলা), শামিম আহমেদ (গোপালগঞ্জ জেলা), তোফাজ্জল হোসেন (গাজীপুর মহানগর) প্রমুখ।
আ স ম রব আরো বলেন, রাতের অন্ধকারে ভোট সম্পন্ন করার পর হতবাক জনগণের ঘৃণাভরা নীরব প্রত্যাখ্যান ক্ষমতাসীন সরকার বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা নির্বাচনকে বৈধতা দেয় না। ভোট জালিয়াতির নির্বাচনের পর পদত্যাগ করাই সরকারের নৈতিক দায়। বরং সাংবিধানিক চেতনাকে নস্যাৎ করে, সর্বজনীন ভোটাধিকারকে পদদলিত করে এবং লজ্জা বিসর্জন দিয়ে শপথ গ্রহণ করাই হচ্ছে সরকারের ভয়ংকর অপরাধ। ৭১ সালের পঁচিশে মার্চ গণহত্যার পরের দিন সারাদেশে কবরের নীরবতা বিরাজমান ছিলো বিধায় প্রমাণ হয় না জনগণ পৈশাচিক গণহত্যা মেনে নিয়েছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের চরম ঘাটতি রয়েছে।