ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু পরিবর্তন: ‘মানবতার জন্য সতর্কবার্তা’

আবহাওয়া ডেক্স : জলবায়ুর ওপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাবের ধারণা মিথ্যা নয়। তাদের হাতে বিশ্ব উত্তপ্তকারী বিপজ্জনক গ্যাস নির্গমন অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ দিকে সামুদ্রিক পানির উচ্চতা দুই মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি মাইলফলক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর বিবিসির। সংস্থাটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) ‘সামারি ফর পলিসিমেকার’ নামে ৪২ পৃষ্ঠার একটি মূল্যায়নপত্র তৈরি করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী মাসগুলোতে আরও কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ২০১৩ সালের পর জলবায়ু পরিবর্তন পর্যালোচনা সংক্রান্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হচ্ছে এটি, যা গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের (সিওপি২৬) মাত্র তিন মাস বাকি থাকতে সামনে আনা হলো।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আজকের আইপিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ ১ প্রতিবেদন মানবতার জন্য লাল সংকেত। আমরা যদি এখনই সব শক্তি একত্রিত করি, তাহলে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।

আজকের প্রতিবেদন এটি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, দেরি করার মতো সময় নেই আর কোনো অজুহাতেরও জায়গা নেই। আমি সিওপি২৬ সফল করার জন্য সব সরকারের নেতা ও অংশীদারের ভরসায় রয়েছি।

প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের প্রফেসর এড হকিন্স বলেছেন, এটি সত্য বিবরণী। আমরা এর চেয়ে বেশি নিশ্চিত হতে পারি না; এটি স্পষ্ট ও অনস্বীকার্য যে, মানুষই গ্রহকে উত্তপ্ত করছে।

প্রতিবেদনে লেখকরা বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা গত দুই হাজার বছরের মধ্যে যেকোনো ৫০ বছর সময়কালের মধ্যে দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই উষ্ণায়ন ইতোমধ্যে পৃথিবীর সব অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। সেটি গ্রিস ও উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রতিক দাবদাহই হোক বা জার্মানি ও চীনের বন্যা- গত এক দশকে এগুলোর ওপর মানুষের প্রভাব আরও শক্তিশালী হয়েছে।

ট্যাগস

জলবায়ু পরিবর্তন: ‘মানবতার জন্য সতর্কবার্তা’

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

আবহাওয়া ডেক্স : জলবায়ুর ওপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাবের ধারণা মিথ্যা নয়। তাদের হাতে বিশ্ব উত্তপ্তকারী বিপজ্জনক গ্যাস নির্গমন অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ দিকে সামুদ্রিক পানির উচ্চতা দুই মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি মাইলফলক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর বিবিসির। সংস্থাটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) ‘সামারি ফর পলিসিমেকার’ নামে ৪২ পৃষ্ঠার একটি মূল্যায়নপত্র তৈরি করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী মাসগুলোতে আরও কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ২০১৩ সালের পর জলবায়ু পরিবর্তন পর্যালোচনা সংক্রান্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হচ্ছে এটি, যা গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের (সিওপি২৬) মাত্র তিন মাস বাকি থাকতে সামনে আনা হলো।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আজকের আইপিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ ১ প্রতিবেদন মানবতার জন্য লাল সংকেত। আমরা যদি এখনই সব শক্তি একত্রিত করি, তাহলে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।

আজকের প্রতিবেদন এটি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, দেরি করার মতো সময় নেই আর কোনো অজুহাতেরও জায়গা নেই। আমি সিওপি২৬ সফল করার জন্য সব সরকারের নেতা ও অংশীদারের ভরসায় রয়েছি।

প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের প্রফেসর এড হকিন্স বলেছেন, এটি সত্য বিবরণী। আমরা এর চেয়ে বেশি নিশ্চিত হতে পারি না; এটি স্পষ্ট ও অনস্বীকার্য যে, মানুষই গ্রহকে উত্তপ্ত করছে।

প্রতিবেদনে লেখকরা বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা গত দুই হাজার বছরের মধ্যে যেকোনো ৫০ বছর সময়কালের মধ্যে দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই উষ্ণায়ন ইতোমধ্যে পৃথিবীর সব অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। সেটি গ্রিস ও উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রতিক দাবদাহই হোক বা জার্মানি ও চীনের বন্যা- গত এক দশকে এগুলোর ওপর মানুষের প্রভাব আরও শক্তিশালী হয়েছে।