পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৯ জনে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়াতেই, যেখানে বন্যা ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। শুধু বুনের বিভাগেই ২২২ জনের প্রাণহানি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বহু গ্রাম পানিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, বিশেষ করে বেশোনই গ্রাম গত শুক্রবার রাতেই আকস্মিক বন্যায় পুরোপুরি ভেসে যায়। অনেক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানে গত ২৬ জুন থেকে বর্ষার তাণ্ডব শুরু হয়। প্রথম দিকে পরিস্থিতি সামলানো গেলেও সাম্প্রতিক দিনে বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। কেবল সোমবারেই সোয়াবি, নোশেরা, মার্দান ও পেশোয়ারে প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। শত শত ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে পড়েছে, হাজার হাজার মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
এরই মধ্যে বন্যাকবলিত পাকিস্তানে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্পও। সোমবার সকালে রাজধানী ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিভিন্ন এলাকায় ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশের উত্তরাঞ্চলে।