ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে

ডেক্স রিপোর্ট :ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তিনি এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. ফরহাদ হাছান চৌধুরী মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়া রোগী পুরুষ (৪৫)। তিনি খুলনা থেকে এসেছেন।

ফরহাদ হাছান বলেন, এই রোগী কোভিড-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে আমাদের ইউনিটে ভর্তি হন সপ্তাহ খানেক আগে। উনার মাথাব্যথা, সাইনোসাইটিস এবং ডানচোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছিল।

আমি তাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন সন্দেহ করি এবং নাক কান গলা বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাইনাস অপারেশন করি। তারপর সেখানকার নমুনা নিয়ে ফাঙ্গাস টেস্ট করতে দিই। রোগীর হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোস্কপি আর কালচার তিনটাতেই মিউকর মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে রোগীর এম্ফোটেরিসিন-বি দিয়ে চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিটু মিয়া এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার আরাফাত সৌরভ জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো করেন বারডেম হাসপাতালের প্রফেসর লাভলি বাড়ৈ।’

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, এ রকম একজন রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেশে আগেও ছিল। এটা নতুন কিছু না যে, এটা নিয়ে আতঙ্কিত হতে হয়।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

ডেক্স রিপোর্ট :ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তিনি এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. ফরহাদ হাছান চৌধুরী মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়া রোগী পুরুষ (৪৫)। তিনি খুলনা থেকে এসেছেন।

ফরহাদ হাছান বলেন, এই রোগী কোভিড-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে আমাদের ইউনিটে ভর্তি হন সপ্তাহ খানেক আগে। উনার মাথাব্যথা, সাইনোসাইটিস এবং ডানচোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছিল।

আমি তাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন সন্দেহ করি এবং নাক কান গলা বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাইনাস অপারেশন করি। তারপর সেখানকার নমুনা নিয়ে ফাঙ্গাস টেস্ট করতে দিই। রোগীর হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোস্কপি আর কালচার তিনটাতেই মিউকর মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে রোগীর এম্ফোটেরিসিন-বি দিয়ে চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিটু মিয়া এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার আরাফাত সৌরভ জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো করেন বারডেম হাসপাতালের প্রফেসর লাভলি বাড়ৈ।’

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, এ রকম একজন রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেশে আগেও ছিল। এটা নতুন কিছু না যে, এটা নিয়ে আতঙ্কিত হতে হয়।