ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ মিলল পুকুরে

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া কাশিমপুর গ্রামে নিখোঁজের একদিন পর লামিয়া আক্তার (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আবদুল হক মাতুব্বরের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

নিহত লামিয়া আক্তার ওই গ্রামের মিজানুর মোল্লার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি আলিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে একটি ফোন পেয়ে লামিয়া কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পাট কাটার শ্রমিকরা পুকুর পাড়ে লাশ ভাসতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

লামিয়ার মা রেভেবা বেগম ও দাদা সানু মোল্লা জানান, লামিয়া প্রায়ই মোবাইলে একটি ছেলের সাথে কথা বলতো। ঘটনার দিন বিকেলেও একটি ফোন পেয়েই সে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে লাশ দেখতে পাওয়া গেলে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল বলেও তারা দাবি করেন।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ খান জানান, “নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসাথে প্রশ্ন উঠেছে এটি নিছক আত্মহত্যা, না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড — তদন্তের পর তা পরিষ্কার হবে।

ট্যাগস

নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ মিলল পুকুরে

আপডেট সময় ০৪:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া কাশিমপুর গ্রামে নিখোঁজের একদিন পর লামিয়া আক্তার (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আবদুল হক মাতুব্বরের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

নিহত লামিয়া আক্তার ওই গ্রামের মিজানুর মোল্লার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি আলিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে একটি ফোন পেয়ে লামিয়া কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পাট কাটার শ্রমিকরা পুকুর পাড়ে লাশ ভাসতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

লামিয়ার মা রেভেবা বেগম ও দাদা সানু মোল্লা জানান, লামিয়া প্রায়ই মোবাইলে একটি ছেলের সাথে কথা বলতো। ঘটনার দিন বিকেলেও একটি ফোন পেয়েই সে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে লাশ দেখতে পাওয়া গেলে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল বলেও তারা দাবি করেন।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ খান জানান, “নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসাথে প্রশ্ন উঠেছে এটি নিছক আত্মহত্যা, না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড — তদন্তের পর তা পরিষ্কার হবে।