সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারতে করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেলেও আক্রান্তের তালিকায় এখনও প্রতিদিনই এক লাখের বেশি মানুষ যুক্ত হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে সরকারি হিসাবেই করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজার পেরিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই হিসাব মানতে নারাজ। তাদের মতে, কোভিড-১৯ এ ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক অনেক বেশি।
ভারতে এখন নাগরিকদের মোট ৩টি টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকাটি ভারতেরই সেরাম ইনস্টিটিউটে বানাচ্ছে।
বাকি দুটির একটি কোভ্যাক্সিন বানিয়েছে ভারত বায়োটেক ও সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ। অন্যটি মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের স্পুৎনিক ভি।
বায়োলজিকাল ই-র কাছ থেকে একবারে ৩০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তির আগে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ভারত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের প্রায় ৩৫ কোটি ডোজ কিনেছিল।
দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যখন জানুয়ারিতে কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারে অনুমতি দেয়, তখনও টিকাটির সব ট্রায়াল শেষ হয়নি।
টিকাটি ভাইরাস মোকাবেলায় কতখানি কার্যকর সে সংক্রান্ত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি।
বায়োলজিকাল ই-র ভ্যাকসিনটি ‘কয়েক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে’ বলে আশা ভারত সরকারের।
দেশটিতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতিতে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার অননুমোদিত এ টিকা কিনতে চুক্তি করল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটের এক পর্যায়ে দেশটির সরকার মে মাসে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবার জন্য কোভিড টিকা দেওয়ার সুযোগ করে দিলেও সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে না পারায় টিকার ঘাটতি থেকেই যায়।
সেই পরিস্থিতি যেন পরেরবার না হয়, এ জন্য এবার আগে থেকেই টিকার পেছনে ছোটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া দিল্লি।
বায়োলজিকাল ই-র নতুন টিকাটি চলতি বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মিলবে, জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।