সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবটি বাংলাদেশে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
দোল পূর্ণিমা বাংলা এবং উড়িষ্যার প্রধান ধর্মীয় উৎসব যা প্রতি বছর পালিত হয়।
এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়াও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর উৎসবটি শুধু পূজা, হোমযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী দোলযাত্রা উদযাপন করার আহ্বান করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
এদিকে দোল পূর্ণিমার দিনে হেফাজত ইসলাম আহুত হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এক বিবৃতিতে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত জনগণের বিশাল একাংশের ধর্মীয় অনুভূতিকে বিবেচনায় নিয়ে আহুত হরতাল প্রত্যাহার করা হবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর ফাগুন পূর্ণিমা রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়। এই বছর দোল পূর্ণিমা বাংলার ১৪ চৈত্র এবং ইংরেজির মার্চের ২৮ তারিখ । দোলযাত্রার পরদিন হোলি উৎসব অর্থাৎ সোমবার পালিত হবে।