ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

১১৭ বছর বয়সী বৃদ্ধার করোনা জয়

ছবিঃ সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ   বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি বয়সী সিস্টার অ্যাঁদ্রে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। তিনি ১১৭ বছর বয়সী ফরাসি একজন নান।

১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ১১৭তম জন্মদিন পালন করেন তিনি। তার আসল নাম লুসিলে র‌্যানডন।

যেসব মানুষের বয়স ১১০ বা তারো বেশি তাদের তালিকা সংরক্ষণ করে জেরোনটোলজি রিসার্স গ্রুপ নামের একটি সংগঠন। তাদের হিসেবে সিস্টার অ্যাঁন্দ্রে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী দ্বিতীয় মানুষ।

এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণ।

ফরাসি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে, তিনি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় তুওলন শহরের বৃদ্ধ নিবাসে বাস করেন। লুসিলে র‌্যানডন ১৯৪৪ সালে নিজের নাম বদল করে সিস্টার এন্ড্রে রাখেন। গত ১৬ জানুয়ারি তিনি করোনা পজিটিভ ধরা পড়েন। মানসিকভাবে দৃঢ় এই বৃদ্ধা ভেঙে পড়েননি।

তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা যে আমাকে আক্রমণ করেছে টেরই পাইনি।

লুসিলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বৃদ্ধ আশ্রমের অন্যদের কাছ থেকে আইসোলেশনে চলে যান। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

লুসিলে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। তিনি অন্ধ। বৃহস্পতিবার তার ১১৭তম জন্মদিন ছিল।

সেইন্ট ক্যাথারিন বৃদ্ধাশ্রমের মুখপাত্র ডেভিল তাভেলা লুলিসো সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি খুবই ভাগ্যবান। ‘এই বয়সেও তার তেমন কোনো রোগ নেই। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, বৃদ্ধাশ্রমের অন্যদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত।

তিনি বলেন, আমার কাছে লুসিলে কখনও তার স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু জানতে চাননি। তবে তার অভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন। যেমন তিনি জানতে চেয়েছেন তার খাবার সময় অথবা ঘুমানোর সময়টা পাল্টানো যায় কিনা। রোগে অসুস্থ হওয়ায় তার মধ্যে কোনো আতঙ্ক দেখা যায়নি। অন্যদিকে অন্য অধিবাসীদের বিষয়ে তিনি ছিলেন খুব সচেতন।

লুসিলে ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। জেরোনটলজি রিসার্চ গ্রুপের র্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক তিনি।

লুসিলে বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকতে পেরে খুব খুশি। আমি বড় ভাইকে দেখেছি। দাদা-দাদি দেখেছি।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

১১৭ বছর বয়সী বৃদ্ধার করোনা জয়

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ   বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি বয়সী সিস্টার অ্যাঁদ্রে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। তিনি ১১৭ বছর বয়সী ফরাসি একজন নান।

১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ১১৭তম জন্মদিন পালন করেন তিনি। তার আসল নাম লুসিলে র‌্যানডন।

যেসব মানুষের বয়স ১১০ বা তারো বেশি তাদের তালিকা সংরক্ষণ করে জেরোনটোলজি রিসার্স গ্রুপ নামের একটি সংগঠন। তাদের হিসেবে সিস্টার অ্যাঁন্দ্রে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী দ্বিতীয় মানুষ।

এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণ।

ফরাসি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে, তিনি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় তুওলন শহরের বৃদ্ধ নিবাসে বাস করেন। লুসিলে র‌্যানডন ১৯৪৪ সালে নিজের নাম বদল করে সিস্টার এন্ড্রে রাখেন। গত ১৬ জানুয়ারি তিনি করোনা পজিটিভ ধরা পড়েন। মানসিকভাবে দৃঢ় এই বৃদ্ধা ভেঙে পড়েননি।

তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা যে আমাকে আক্রমণ করেছে টেরই পাইনি।

লুসিলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বৃদ্ধ আশ্রমের অন্যদের কাছ থেকে আইসোলেশনে চলে যান। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

লুসিলে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। তিনি অন্ধ। বৃহস্পতিবার তার ১১৭তম জন্মদিন ছিল।

সেইন্ট ক্যাথারিন বৃদ্ধাশ্রমের মুখপাত্র ডেভিল তাভেলা লুলিসো সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি খুবই ভাগ্যবান। ‘এই বয়সেও তার তেমন কোনো রোগ নেই। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, বৃদ্ধাশ্রমের অন্যদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত।

তিনি বলেন, আমার কাছে লুসিলে কখনও তার স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু জানতে চাননি। তবে তার অভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন। যেমন তিনি জানতে চেয়েছেন তার খাবার সময় অথবা ঘুমানোর সময়টা পাল্টানো যায় কিনা। রোগে অসুস্থ হওয়ায় তার মধ্যে কোনো আতঙ্ক দেখা যায়নি। অন্যদিকে অন্য অধিবাসীদের বিষয়ে তিনি ছিলেন খুব সচেতন।

লুসিলে ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। জেরোনটলজি রিসার্চ গ্রুপের র্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক তিনি।

লুসিলে বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকতে পেরে খুব খুশি। আমি বড় ভাইকে দেখেছি। দাদা-দাদি দেখেছি।