স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ভস্মীভুত হয়েছে প্রায় ৬০টি ঘর। নিঃস্ব হয়ে পৌষমাসের শীতে নিদারুণ কষ্টে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলো।
বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে জলঢাকা ও নীলফামারী সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়ির পাশাপাশি গবাদি পশু, হাস-মুরগি, ধান, চাল, আসবাবপত্রসহ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে শিমুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক জানান, বুধবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি পরিবার একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার ঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘরসহ প্রায় ৬০টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সাতটি পরিবার অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচার জন্য তাদের বসতভিটা ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান হামিদুল হক।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নীলফামারীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, রান্নাঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাতের হিসেবে আমরা ১৮টি পরিবারের ৩০-৩২টি ঘরের পুড়ে যাওয়ার তালিকা পেয়েছি। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা হয়নি।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন, রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।