ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

শিশুরা কম আক্রান্ত হয় করোনায়, জানাল গবেষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সহায়ক বিশেষ ধরনের প্রোটিন শিশুদের শরীরে কম মাত্রায় আছে বলেই কি প্রবীণদের চেয়ে তুলনায় কম সংখ্যায় শিশুরা আক্রান্ত হয়? এ প্রশ্ন অনেকের।

সম্প্রতি একটি গবেষণায় ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে কেন কম সংখ্যায় শিশু ও অল্পবয়সিরা আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশনে।

প্রবীণদের শরীরে এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে বেঁধে বা আটকে (‘ব্লক’) ফেললে কভিড সংক্রমণ কমানো যায় কি না, এই গবেষণা সেই পথ দেখাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যা আগামী দিনে কভিড রোগীদের চিকিৎসার সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ ধরনের প্রোটিনটি থাকে আমাদের ফুসফুসের বাইরের কোষগুলিতে। এই প্রোটিন প্রবীণদের চেয়ে কম মাত্রায় থাকে শিশুদের ফুসফুসের বাইরের কোষগুলিতে।

গবেষকরা বলছেন, ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনেরই সাহায্য নেয় কভিড-১৯ ভাইরাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যা সার্স-কোভ-২। এদের বলা হয় রিসেপ্টর প্রোটিন। এরাই কভিড-১৯ ভাইরাসকে গোটা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে এই প্রোটিন কম মাত্রায় থাকে বলেই কভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য প্রবীণদের ক্ষেত্রে যে সুবিধাটা পায়, তুলনায় তা অনেক কম পায় শিশু ও অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে।

অনেক রকমের প্রোটিন থাকে আমাদের শরীরে। তাদের মধ্যে অন্যতম ‘টিএমপিআরএসএস-২’। এটাও এক ধরনের রিসেপ্টর প্রোটিন।

সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের যে স্পাইকগুলি থাকে, গবেষকরা দেখেছেন, সেগুলোর কিছুটা পরিবর্তন করে এই টিএমপিআরএসএস-২ রিসেপ্টর প্রোটিনটি কভিড-১৯ ভাইরাসকে আমাদের ফুসফুসের বাইরের দিকের কোষগুলির প্রাচীর ভাঙতে সাহায্য করে।

এই প্রোটিনও প্রবীণদের চেয়ে কম মাত্রায় থাকে শিশু ও অল্পবয়সিদের ফুসফুসে।

এই প্রোটিনটি আবার ক্যানসারেরও সহায়ক। তাই এই প্রোটিনটিকে কী ভাবে আটকে দেওয়া যায় বা বেঁধে ফেলা যায় তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা।

ভ্যানডারবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, কভিড সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রেও এ বার এই প্রোটিনটিকে টার্গেট করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। ওষুধ সংস্থাগুলিও।

ট্যাগস

পত্নীতলায় ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল শিশু মাহিনের প্রাণ

শিশুরা কম আক্রান্ত হয় করোনায়, জানাল গবেষণা

আপডেট সময় ১১:৩৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সহায়ক বিশেষ ধরনের প্রোটিন শিশুদের শরীরে কম মাত্রায় আছে বলেই কি প্রবীণদের চেয়ে তুলনায় কম সংখ্যায় শিশুরা আক্রান্ত হয়? এ প্রশ্ন অনেকের।

সম্প্রতি একটি গবেষণায় ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে কেন কম সংখ্যায় শিশু ও অল্পবয়সিরা আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশনে।

প্রবীণদের শরীরে এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে বেঁধে বা আটকে (‘ব্লক’) ফেললে কভিড সংক্রমণ কমানো যায় কি না, এই গবেষণা সেই পথ দেখাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যা আগামী দিনে কভিড রোগীদের চিকিৎসার সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ ধরনের প্রোটিনটি থাকে আমাদের ফুসফুসের বাইরের কোষগুলিতে। এই প্রোটিন প্রবীণদের চেয়ে কম মাত্রায় থাকে শিশুদের ফুসফুসের বাইরের কোষগুলিতে।

গবেষকরা বলছেন, ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনেরই সাহায্য নেয় কভিড-১৯ ভাইরাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যা সার্স-কোভ-২। এদের বলা হয় রিসেপ্টর প্রোটিন। এরাই কভিড-১৯ ভাইরাসকে গোটা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে এই প্রোটিন কম মাত্রায় থাকে বলেই কভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য প্রবীণদের ক্ষেত্রে যে সুবিধাটা পায়, তুলনায় তা অনেক কম পায় শিশু ও অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে।

অনেক রকমের প্রোটিন থাকে আমাদের শরীরে। তাদের মধ্যে অন্যতম ‘টিএমপিআরএসএস-২’। এটাও এক ধরনের রিসেপ্টর প্রোটিন।

সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের যে স্পাইকগুলি থাকে, গবেষকরা দেখেছেন, সেগুলোর কিছুটা পরিবর্তন করে এই টিএমপিআরএসএস-২ রিসেপ্টর প্রোটিনটি কভিড-১৯ ভাইরাসকে আমাদের ফুসফুসের বাইরের দিকের কোষগুলির প্রাচীর ভাঙতে সাহায্য করে।

এই প্রোটিনও প্রবীণদের চেয়ে কম মাত্রায় থাকে শিশু ও অল্পবয়সিদের ফুসফুসে।

এই প্রোটিনটি আবার ক্যানসারেরও সহায়ক। তাই এই প্রোটিনটিকে কী ভাবে আটকে দেওয়া যায় বা বেঁধে ফেলা যায় তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা।

ভ্যানডারবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, কভিড সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রেও এ বার এই প্রোটিনটিকে টার্গেট করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। ওষুধ সংস্থাগুলিও।