রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রায়হানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নগরীর হারাগাছ থানায় মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সম্প্রতি হারাগাছ থানা থেকে বদলি হওয়া রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। মেয়েটির সঙ্গে পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান।
সম্পর্কের সূত্র ধরে রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে সিগারেট কোম্পানি ক্যাদারের পুল এলাকার জনৈক শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে ডেকে নেন রায়হানুল।
সেখানে রায়হানুল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার আরও কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করান। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরে কৌশলে সেখান থেকে সে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারকে খবর দেয়।
পুলিশ ওই সময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমকে এবং পরে রাতে অভিযান চালিয়ে সুরুভি নামে তার এক সহযোগীকে আটক করে।
পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রাজুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনা যাচাইয়ের জন্য অভিযুক্ত এএসআই রায়হানুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু নামে এক পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছে মেয়েটি।
তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কি-না তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকে পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।