নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ছয় উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে আনসা মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অ্যাডজুটেন্ড মাহবুব আলম জানান, প্রত্যেক উপজেলায় ইউএনওদের নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ জন করে সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারীর ছয়টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে চারজন করে আনসার দায়িত্ব পালন করছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রতিটি উপজেলায় অস্ত্র-গুলির নিরাপত্তা পূর্বক জেলা আনসার কমান্ডার ও নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি), একজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) ও আটজন আনসারসহ মোট ১০ জন করে দায়িত্ব পালন করবে।
গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
ইউএনও’র মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। এ কারণে দেশের প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জ পরিচালক একেএম জিয়াউল আলম রংপুর বিভাগের আট জেলার কমান্ড্যান্টকে একটি নির্দেশনা পাঠান। এতে প্রত্যেক ইউএনওর জন্য ১০ জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলা কমান্ড্যান্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, রংপুর বিভাগের আট জেলার (রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও) ৫৮টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন আনসারসহ মোট ১০ জন করে সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।