ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্য ভারতের ‘গরিবের রবিন হুড’ মারা গেছেন

ছবিঃ কুখ্যাত দস্যু মোহর সিং {সংগৃহীত}

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  মধ্যভারতে বছরের পর বছর ধরে ত্রাস ছড়িয়ে যাওয়া সেই কুখ্যাত দস্যু মোহর সিং মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

জীবনের একটা সময়ে এসে বলিউড ও রাজনীতিতেও ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। নাকের নিচে নেউলের লেজের মতো গোঁফ ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে যে কারও বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারতেন তিনি।

চ্যাম্বল অঞ্চলটি তার ভয়ে সর্বদা তটস্থ ও শঙ্কিত থাকতো। শত শত মানুষকে হত্যা, অপহরণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গরিব মানুষের কাছে তিনি ছিলেন রবিন হুডের মতো জনপ্রিয়। বিন্দ জেলার এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩১৫টি মামলা ছিল। যার মধ্যে ৮৯টি ছিল হত্যার।

জেলা পুলিশ সুপার নাগেন্দ্র সিং বলেন, মানুষের কাছে তিনি ছিলেন রবিন হুডের মতো। পুরনো আমলের এই গ্যাং লিডার মূলত ব্যবসায়ী ও ধনী জমিদারদের নিশানা করতেন। আর লুটের মাল গরিবদের মধ্যে বিলি করে দিতেন। এতে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিলেন এই দস্যু নেতা।

এক সময় তার মাথার মূল্য ঘোষণা হয়েছিল তিন লাখ রুপি।

১৯৭২ সালে ১৪০ দস্যুকে নিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আট বছর পর কারাগার থেকে বের অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮২ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্রটি ছিল ‘চাম্বল কে ডাকু’। নব্বইয়ের দশকে রাজনীতি অংশ নিয়ে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হন। জীবনের শেষ বছরটিতে তিনি পুরনো একটি মন্দির উদ্ধারের প্রচারে নামেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছিলেন।

ট্যাগস

মধ্য ভারতের ‘গরিবের রবিন হুড’ মারা গেছেন

আপডেট সময় ০২:৩৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  মধ্যভারতে বছরের পর বছর ধরে ত্রাস ছড়িয়ে যাওয়া সেই কুখ্যাত দস্যু মোহর সিং মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

জীবনের একটা সময়ে এসে বলিউড ও রাজনীতিতেও ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। নাকের নিচে নেউলের লেজের মতো গোঁফ ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে যে কারও বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারতেন তিনি।

চ্যাম্বল অঞ্চলটি তার ভয়ে সর্বদা তটস্থ ও শঙ্কিত থাকতো। শত শত মানুষকে হত্যা, অপহরণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গরিব মানুষের কাছে তিনি ছিলেন রবিন হুডের মতো জনপ্রিয়। বিন্দ জেলার এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩১৫টি মামলা ছিল। যার মধ্যে ৮৯টি ছিল হত্যার।

জেলা পুলিশ সুপার নাগেন্দ্র সিং বলেন, মানুষের কাছে তিনি ছিলেন রবিন হুডের মতো। পুরনো আমলের এই গ্যাং লিডার মূলত ব্যবসায়ী ও ধনী জমিদারদের নিশানা করতেন। আর লুটের মাল গরিবদের মধ্যে বিলি করে দিতেন। এতে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিলেন এই দস্যু নেতা।

এক সময় তার মাথার মূল্য ঘোষণা হয়েছিল তিন লাখ রুপি।

১৯৭২ সালে ১৪০ দস্যুকে নিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আট বছর পর কারাগার থেকে বের অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮২ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্রটি ছিল ‘চাম্বল কে ডাকু’। নব্বইয়ের দশকে রাজনীতি অংশ নিয়ে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হন। জীবনের শেষ বছরটিতে তিনি পুরনো একটি মন্দির উদ্ধারের প্রচারে নামেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছিলেন।