ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার থাবায় পড়লে বলে দেবে গলায় লাগানো ‘করোনা সেন্সর’

করোনা সেন্সর (ছবি : সংগৃহীত)

প্রযুক্তি ডেস্কঃ   সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহামারি হয়ে গর্জে ওঠা নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো অনেকের মধ্যেই দেরিতে প্রকাশ পায়। ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই ব্যক্তি আরও মানুষকে সংক্রমিত করে ফেলেন।

এমন পরিস্থিতিতে একটি ডিভাইস এবং সেন্সর প্রয়োজন যা মানুষকে পরীক্ষা করে তাত্‍ক্ষণিকভাবেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারবে।

এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং শিরলে রায়ান অ্যাবিলিটি ল্যাব একটি বিশেষ স্টিকার তৈরি করেছে। যা দেখতে অনেকটা ব্যান্ডেড এর মতো। এই স্টিকারটি গলায় আটকে দেওয়া যায়, এতে রয়েছে অনেক ধরনের সেন্সর। যাকে ‘করোনা সেন্সর’ বলা হচ্ছে।

করোনা সেন্সরটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি কফ, শ্বাসের গতি, কম্পনের ওপর ভিত্তি করে করোনা লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানাতে পারে।

এ ব্যাপারে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন রজার বলেছেন, গোপনীয়তা কথা মাথায় রেখে এই স্টিকারটিতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়নি। এতে হাই ব্যান্ডউইথ এবং ট্রাই এক্সিস এক্সিলারোমিটার ব্যবহার করে হয়েছে। যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণকে ট্র্যাক করা যায়। এই সেন্সরটি হার্ট রেট এবং দেহের তাপমাত্রাও পরিমাপ করতে কাজ করে।

করোনা সেন্সরে অক্সিজেন মিটার দেওয়া হয়নি। তবে এটি সেন্সরের পরবর্তী সংস্করণে সমর্থিত হবে।

করোনা সেন্সরটি এখন পর্যন্ত ২৫ জনের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে। সেন্সরটি একটি ওয়্যারলেস চার্জারের মাধ্যমে চার্জ করা যাবে এবং ডেটাকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সিঙ্ক করা যাবে।

এই সেন্সরে কোনো পোর্ট দেওয়া হয়নি। এতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সমর্থনও রয়েছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

করোনার থাবায় পড়লে বলে দেবে গলায় লাগানো ‘করোনা সেন্সর’

আপডেট সময় ০৯:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

প্রযুক্তি ডেস্কঃ   সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহামারি হয়ে গর্জে ওঠা নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো অনেকের মধ্যেই দেরিতে প্রকাশ পায়। ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই ব্যক্তি আরও মানুষকে সংক্রমিত করে ফেলেন।

এমন পরিস্থিতিতে একটি ডিভাইস এবং সেন্সর প্রয়োজন যা মানুষকে পরীক্ষা করে তাত্‍ক্ষণিকভাবেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারবে।

এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং শিরলে রায়ান অ্যাবিলিটি ল্যাব একটি বিশেষ স্টিকার তৈরি করেছে। যা দেখতে অনেকটা ব্যান্ডেড এর মতো। এই স্টিকারটি গলায় আটকে দেওয়া যায়, এতে রয়েছে অনেক ধরনের সেন্সর। যাকে ‘করোনা সেন্সর’ বলা হচ্ছে।

করোনা সেন্সরটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি কফ, শ্বাসের গতি, কম্পনের ওপর ভিত্তি করে করোনা লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানাতে পারে।

এ ব্যাপারে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন রজার বলেছেন, গোপনীয়তা কথা মাথায় রেখে এই স্টিকারটিতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়নি। এতে হাই ব্যান্ডউইথ এবং ট্রাই এক্সিস এক্সিলারোমিটার ব্যবহার করে হয়েছে। যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণকে ট্র্যাক করা যায়। এই সেন্সরটি হার্ট রেট এবং দেহের তাপমাত্রাও পরিমাপ করতে কাজ করে।

করোনা সেন্সরে অক্সিজেন মিটার দেওয়া হয়নি। তবে এটি সেন্সরের পরবর্তী সংস্করণে সমর্থিত হবে।

করোনা সেন্সরটি এখন পর্যন্ত ২৫ জনের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে। সেন্সরটি একটি ওয়্যারলেস চার্জারের মাধ্যমে চার্জ করা যাবে এবং ডেটাকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সিঙ্ক করা যাবে।

এই সেন্সরে কোনো পোর্ট দেওয়া হয়নি। এতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সমর্থনও রয়েছে।