আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারিকৃত অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ বিধি ভেঙে শাস্তির মুখে পড়েছেন মালয়েশিয়ার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী নুর আজমি গজলি।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে জমায়েত করে ইফতারি করায় তার তাকে জরিমানা করা হয়েছে।
চ্যানেল নিউজ এশিয়া বলছে, মন্ত্রী নুর আজমি গজলি ছাড়াও পিরাক রাজ্যের একজন কাউন্সিলরকেও জরিমানা করেছেন আদালত।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দেশটির সংসদ সদস্য নুর আজমি ও পেরাক রাজ্য শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান রাজমান জাকারিয়াকে এক হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে।
সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদেরকে এই সাজা দেয়া হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল পেরাক রাজ্যের একটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান মন্ত্রী নুর আজমি গজলি। সেখান থেকে লেংগং এলাকার একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সঙ্গে থাকা অতিথিদের নিয়ে দলবেধে ইফতারিতে অংশ নেন।
সরকারের জনসমাগম এবং ইফতারি আয়োজন নিষিদ্ধের আদেশ লঙ্ঘন করেন মন্ত্রী নুর আজমি। পরে নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ইফতারির একটি ছবি পোস্ট করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। বিতর্কের মুখে ছবিটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন মালয়েশীয় এই মন্ত্রী।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে জনসমাগম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় আয়োজন বন্ধ করেছে দেশটিতে সরকার। পাশাপাশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা তিন ধাপে বাড়িয়ে আগামী ১২ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
সরকারি আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমা চেয়ে এক বিবৃতি দেন মন্ত্রী নুর আজমি। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৯৮ এবং মারা গেছেন ১০৫ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৪১৩ জন।
এদিকে, করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধড়পাকড় অভিযান শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। গত কয়েকদিনে মালয়েশিয়া পুলিশ কয়েকশ অভিবাসীকে আটক করে বন্দি শিবিরে রেখেছে।
জাতিসংঘের শ্রমবিষয়ক সংস্থা আইএলও দেশটির এই ধরপাকড় অভিযানের সমালোচনা করে বলেছে, অভিবাসীদের আটক করে জনাকীর্ণ শিবিরে রাখা হলে সেখানে ভাইরাসের বিস্তারের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।