আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা বিশ্ব একযোগে কাজ করছে। এর ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা দিন-রাত খেটে চলেছেন।
জার্মানির বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক কর্তৃক উদ্ভাবিত কভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সরাসরি মানব শরীরে পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে জার্মানির ভ্যাকসিনেস রেগুলেটর। বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে আক্রান্ত মানুষদের বাঁচাতে এই প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে। ট্রায়ালটিতে প্রথম পর্যায়ে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ২০০ জন স্বাস্থ্যবান মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনটি কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত কয়েকজনের ওপর প্রয়োগ করা হবে।
বায়োএনটেক বলেছে যে, স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে সেটি বিএনএটি ১৬২ নামে পরিচিত। ফার্মা জায়ান্ট পিফাইজারের সাথে যৌথভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে।
আমেরিকাতেও এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং সেখানে মানুষের উপর পরীক্ষার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এই মূহুর্তে সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না। জার্মানিতে নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার পর আমেরিকায় পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সারা বিশ্বের ভাইরাস নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি গবেষক দল কাজ করছেন।
মানবদেহে প্রথমবারের মতো করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিজ্ঞানীরা। ওই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে এখনও গবেষণা চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উৎপত্তির পর থেকে গোটা বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাস। কিছুতেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না এর সংক্রমণে। চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাস আড়াই মাসেই বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ৫০৯ জন।
সূত্র- টিআরটি ওয়ার্ল্ড।