ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা রুখতে ফেসশিল্ড-নিরাপদ চশমা বানাচ্ছে ওয়ালটন

করোনা রুখতে ফেসশিল্ড-নিরাপদ চশমা বানাচ্ছে ওয়ালটন

প্রজুক্তি ডেস্কঃ  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জাম ফেসশিল্ড ও নিরাপদ চশমা তৈরি শুরু করেছে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালটন। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের এই সরঞ্জাম বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিকভাবে দৈনিক এক হাজার নিরাপদ চশমা এবং দেড় হাজার ফেসশিল্ড তৈরি করছে তারা। তবে চাহিদা অনুযায়ী, এর তিন গুণ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। তাদের তৈরি সরঞ্জাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পেয়েছে। দেশের জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজস্ব কারখানায় মোল্ড ও নকশা করে চূড়ান্ত উৎপাদন করা হচ্ছে এসব সরঞ্জাম।

গত শনিবার (১১ এপ্রিল) চিকিৎসকদের মধ্যে বিতরণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে (ডিজিএইচএস) আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসশিল্ড এবং নিরাপত্তা চশমা হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) সানিয়া তাহমিনা, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) রিজওয়ানুল করিম, ডেপুটি কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মারুফুর রহমান, ওয়ালটনের ফেসশিল্ড ও নিরাপত্তা চশমা উৎপাদন প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর আপেল মাহমুদ প্রমুখ।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, এত কম সময়ের মধ্যে মোল্ড তৈরি করে ফেসশিল্ড এবং নিরাপদ চশমা তৈরি করেছে ওয়ালটন, যা একটি রেকর্ড বলা চলে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানাসহ অফিস ছুটি থাকলেও দেশের জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা দিনরাত কাজ করছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে উৎপাদনে গেলেও ফেসশিল্ড ও নিরাপত্তা চশমার মান উন্নয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই অ্যান্টিফগ প্রযুক্তির চশমা তৈরি হবে। পাশাপাশি ভেন্টিলেটর, পিএপিআর (পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর), ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, রেসপিরেটরি মাস্ক ইত্যাদি চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে কাজ চলছে।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর খুবই জরুরি। ভেন্টিলেটর তৈরিতে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিকের নকশা নিয়ে ওয়ালটন কারখানায় কাজ চলছে। এতে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, দেশে আগে থেকেই প্রোটেকটিভ স্যুট, মাস্ক, গ্লাভস, শু কভার, হেডক্যাপ ইত্যাদি গার্মেন্টস আইটেম তৈরি হচ্ছিল। এবার প্রথম ব্যাপক আকারে ফেসশিল্ড ও নিরাপদ চশমার মতো পণ্য তৈরি শুরু করল ওয়ালটন। পরিস্থিতি বুঝে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব সরঞ্জাম রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস

করোনা রুখতে ফেসশিল্ড-নিরাপদ চশমা বানাচ্ছে ওয়ালটন

আপডেট সময় ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

প্রজুক্তি ডেস্কঃ  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জাম ফেসশিল্ড ও নিরাপদ চশমা তৈরি শুরু করেছে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালটন। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের এই সরঞ্জাম বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিকভাবে দৈনিক এক হাজার নিরাপদ চশমা এবং দেড় হাজার ফেসশিল্ড তৈরি করছে তারা। তবে চাহিদা অনুযায়ী, এর তিন গুণ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। তাদের তৈরি সরঞ্জাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পেয়েছে। দেশের জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজস্ব কারখানায় মোল্ড ও নকশা করে চূড়ান্ত উৎপাদন করা হচ্ছে এসব সরঞ্জাম।

গত শনিবার (১১ এপ্রিল) চিকিৎসকদের মধ্যে বিতরণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে (ডিজিএইচএস) আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসশিল্ড এবং নিরাপত্তা চশমা হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) সানিয়া তাহমিনা, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) রিজওয়ানুল করিম, ডেপুটি কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মারুফুর রহমান, ওয়ালটনের ফেসশিল্ড ও নিরাপত্তা চশমা উৎপাদন প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর আপেল মাহমুদ প্রমুখ।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, এত কম সময়ের মধ্যে মোল্ড তৈরি করে ফেসশিল্ড এবং নিরাপদ চশমা তৈরি করেছে ওয়ালটন, যা একটি রেকর্ড বলা চলে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানাসহ অফিস ছুটি থাকলেও দেশের জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা দিনরাত কাজ করছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে উৎপাদনে গেলেও ফেসশিল্ড ও নিরাপত্তা চশমার মান উন্নয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই অ্যান্টিফগ প্রযুক্তির চশমা তৈরি হবে। পাশাপাশি ভেন্টিলেটর, পিএপিআর (পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর), ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, রেসপিরেটরি মাস্ক ইত্যাদি চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে কাজ চলছে।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর খুবই জরুরি। ভেন্টিলেটর তৈরিতে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিকের নকশা নিয়ে ওয়ালটন কারখানায় কাজ চলছে। এতে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, দেশে আগে থেকেই প্রোটেকটিভ স্যুট, মাস্ক, গ্লাভস, শু কভার, হেডক্যাপ ইত্যাদি গার্মেন্টস আইটেম তৈরি হচ্ছিল। এবার প্রথম ব্যাপক আকারে ফেসশিল্ড ও নিরাপদ চশমার মতো পণ্য তৈরি শুরু করল ওয়ালটন। পরিস্থিতি বুঝে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব সরঞ্জাম রপ্তানি করা সম্ভব হবে।