ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যবিপ্রবিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টারঃ  দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সম্মতি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন। হাসপাতালের বাইরে দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সরকারি অনুমতি পেল।

উপাচার্য জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর মেশিন রয়েছে। এক সঙ্গে এখানে ৯৬ জনের পরীক্ষা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪ জন শিক্ষক করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করবেন। তারা ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুজন শিক্ষক এই ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তাদেরও প্রশিক্ষিত করে ল্যাবে যুক্ত করা হবে।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তিনি নিজে এবং শিক্ষকরা ঢাকা, ফরিদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (রবিবার) তিনি যশোর পৌঁছাবেন। আর পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), কীট ও রোগীর নমুনা সরবরাহ করা হলে তারা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন।
ল্যাবটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখারও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। প্রতিদিন ২শ রোগীর নমুনা এখানে পরীক্ষা সম্ভব। তবে নমুনা বারে বারে না পাঠিয়ে এক বা দুইবার পাঠানো হলেই কাজ দ্রুত সম্ভব হবে। দিনে দিনেই পরীক্ষার ফল তারা দিতে পারবেন।

উপাচার্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকাকালীন ২০১১ সাল থেকে তিনি করোনার আরএমএন ভাইরাস পরীক্ষা শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ল্যাবেও ৩৮টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব

ড. আনোয়ার জানান, যবিপ্রবির ল্যাবটি ইতোমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করেছেন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা সচিবের সাথেও তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সাথেও এ নিয়ে তার কথা হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, তাদের ল্যাবে শুধু পরীক্ষাই নয়, তারা দেশের যে কোনো স্থানে পরীক্ষা চালুর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সক্ষমতাও রাখেন। সরকারের সিগন্যাল পেলে মহামারির এই দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।

ট্যাগস

দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যবিপ্রবিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা

আপডেট সময় ০৭:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সম্মতি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন। হাসপাতালের বাইরে দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সরকারি অনুমতি পেল।

উপাচার্য জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর মেশিন রয়েছে। এক সঙ্গে এখানে ৯৬ জনের পরীক্ষা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪ জন শিক্ষক করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করবেন। তারা ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুজন শিক্ষক এই ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তাদেরও প্রশিক্ষিত করে ল্যাবে যুক্ত করা হবে।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তিনি নিজে এবং শিক্ষকরা ঢাকা, ফরিদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (রবিবার) তিনি যশোর পৌঁছাবেন। আর পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), কীট ও রোগীর নমুনা সরবরাহ করা হলে তারা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন।
ল্যাবটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখারও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। প্রতিদিন ২শ রোগীর নমুনা এখানে পরীক্ষা সম্ভব। তবে নমুনা বারে বারে না পাঠিয়ে এক বা দুইবার পাঠানো হলেই কাজ দ্রুত সম্ভব হবে। দিনে দিনেই পরীক্ষার ফল তারা দিতে পারবেন।

উপাচার্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকাকালীন ২০১১ সাল থেকে তিনি করোনার আরএমএন ভাইরাস পরীক্ষা শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ল্যাবেও ৩৮টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব

ড. আনোয়ার জানান, যবিপ্রবির ল্যাবটি ইতোমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করেছেন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা সচিবের সাথেও তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সাথেও এ নিয়ে তার কথা হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, তাদের ল্যাবে শুধু পরীক্ষাই নয়, তারা দেশের যে কোনো স্থানে পরীক্ষা চালুর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সক্ষমতাও রাখেন। সরকারের সিগন্যাল পেলে মহামারির এই দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।