ক্রীড়া ডেস্কঃ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানে ফের ‘ম্যাচ পাতানো’ বিতর্ক চলছে। সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই এ নিয়ে নানান মন্তব্য করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ তো আবার ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসিতে ঝোলানোর নিদানও দিচ্ছেন।
কিন্তু এসব দেখেশুনে খেপে গেছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সালমান বাট। তার মতে, পাকিস্তান ক্রিকেটে ‘সততা’ নিয়ে কথা বলাই উচিত নয়।
বাট নিজে ২০১০ সালে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে ম্যাচ পাতানোর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৫ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তার।
কিন্তু ম্যাচ পাতানোর শাস্তি নিয়ে নতুন আলোচনায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। দীর্ঘদিন নিজেকে আড়ালে রাখলেও তাই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক।
ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চের শেষদিকে। আড়াই বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা শারজিল খানকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যদিও ২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ম্যাচ পাতানোর দায়ে তাকে ৫ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার নিষেধাজ্ঞা কমানো হয়
কিন্তু দুই সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন সালমান বাট। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কেন এই ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে এবং এ নিয়ে কারো মতামত দিতে হবে, কারণ এর কোনো মানে নেই। মূলকথা হলো, আইসিসি এবং পিসিবি যেহেতু এসব আইন তৈরি করে তাই তাদেরকেই এসব নিয়ে কথা বলা উচিত।’
এরপরই রীতিমত বোমা ফাটানোর মতো বাট বলেন, ‘আমি এমন অনেক খেলোয়াড়ের কথা জানি যারা (বোর্ডের সঙ্গে) ভালো সম্পর্ক থাকায় দলে সুযোগ পায় এবং এমন অনেকেই আছে যারা তেমন আহামরি পারফরম্যান্স না করতে পারলেও বার বার দলে ডাক পায়। এগুলো কি দুর্নীতি নয়? আমাদের এমনকি পাকিস্তান ক্রিকেটে “সততা” নিয়ে কথাই বলা উচিত নয়।’
এর আগে পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটিং কিংবদন্তি জাভেদ মিঁয়াদাদ ‘ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িতদের জন্য ‘ফাঁসি’র মতো শাস্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান বাট। তার মতে, শাস্তির মেয়াদ শেষ হলে একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে বাকিদের মতোই ব্যবহার করা উচিত।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পিএসএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন বাট। কিন্তু সেখানে ভালো খেললেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। যদিও ২০১৬ সালে তৎকালীন হেড কোচ ওয়াকার ইউনিস বাটকে দলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির বিরোধিতায় তা আর সম্ভব হয়নি।