ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাড়া দিতে না পারায় ‘৪ শিশুকে নদীতে নিক্ষেপ’

চাঁদপুর প্রতিনিধি : ভাড়ার টাকা না থাকায় চার শিশুকে লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চ থেকে তাদের মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন তাদের উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাত ৯টায় মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা করেন মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান। ইমাম হাসান-৫ নামে লঞ্চের অজ্ঞাতনামা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। থানার পরিদর্শক রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শিশুদের তিনজনরে বয়স ১৩ বছর। আরেকজনের বয়স ১০ বছর। তাদের বাড়ি নোয়াখালী, গাইবান্ধা ও কুমিল্লায়। তারা ঢাকার সদরঘাট এলাকায় লঞ্চে পানি বিক্রি ও বোতল সংগ্রহের কাজ করে বলে তাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে।

ওসি রইছ উদ্দিন বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে একটি স্পিডবোটে মেঘনা নদীতে অবস্থানকালে আমি দুই শিশুকে ভাসতে দেখি।

তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নিয়ে গেলে আরও দুই শিশুকে পাওয়া যায়। চার শিশু একসঙ্গে লঞ্চে পানি বেচতে উঠেছিল বলে তারা জানিয়েছে। কিন্তু ভাড়ার টাকা না থাকায় তাদের লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ।’

তবে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের মাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুদের ফেলে দেওয়া হয়নি। এসব শিশু পানি বিক্রেতার কাছ থেকে ভাড়াও নেওয়া হয় না।’

তার দাবি, ‘শিশুরা স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। পরে যাত্রীরা আমাদের অবগত করে। কতজন ঝাঁপ দিয়েছে তা জানি না। বড় লঞ্চগুলো যখন ঘাটের সামনে দিয়ে যায় তখন স্থানীয় ট্রলারগুলো লঞ্চের গায়ে ভেড়ে।

এ সময় যাত্রীরা ওঠানামা করে। মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দুই শিশু ট্রলার দেখতে না পেয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর লাফ দেয়। তারা ভেবেছিল ট্রলার এসে তাদের নিয়ে যাবে।’

এর আগে দুই শিশুকে মেঘনায় ফেলে দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসলেও ওই দুই শিশুর আরও দুই সঙ্গী আগেই অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় ঘাটে পৌঁছেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ট্যাগস

ভাড়া দিতে না পারায় ‘৪ শিশুকে নদীতে নিক্ষেপ’

আপডেট সময় ০৫:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

চাঁদপুর প্রতিনিধি : ভাড়ার টাকা না থাকায় চার শিশুকে লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চ থেকে তাদের মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন তাদের উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাত ৯টায় মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা করেন মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান। ইমাম হাসান-৫ নামে লঞ্চের অজ্ঞাতনামা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। থানার পরিদর্শক রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শিশুদের তিনজনরে বয়স ১৩ বছর। আরেকজনের বয়স ১০ বছর। তাদের বাড়ি নোয়াখালী, গাইবান্ধা ও কুমিল্লায়। তারা ঢাকার সদরঘাট এলাকায় লঞ্চে পানি বিক্রি ও বোতল সংগ্রহের কাজ করে বলে তাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে।

ওসি রইছ উদ্দিন বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে একটি স্পিডবোটে মেঘনা নদীতে অবস্থানকালে আমি দুই শিশুকে ভাসতে দেখি।

তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নিয়ে গেলে আরও দুই শিশুকে পাওয়া যায়। চার শিশু একসঙ্গে লঞ্চে পানি বেচতে উঠেছিল বলে তারা জানিয়েছে। কিন্তু ভাড়ার টাকা না থাকায় তাদের লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ।’

তবে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের মাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুদের ফেলে দেওয়া হয়নি। এসব শিশু পানি বিক্রেতার কাছ থেকে ভাড়াও নেওয়া হয় না।’

তার দাবি, ‘শিশুরা স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। পরে যাত্রীরা আমাদের অবগত করে। কতজন ঝাঁপ দিয়েছে তা জানি না। বড় লঞ্চগুলো যখন ঘাটের সামনে দিয়ে যায় তখন স্থানীয় ট্রলারগুলো লঞ্চের গায়ে ভেড়ে।

এ সময় যাত্রীরা ওঠানামা করে। মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দুই শিশু ট্রলার দেখতে না পেয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর লাফ দেয়। তারা ভেবেছিল ট্রলার এসে তাদের নিয়ে যাবে।’

এর আগে দুই শিশুকে মেঘনায় ফেলে দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসলেও ওই দুই শিশুর আরও দুই সঙ্গী আগেই অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় ঘাটে পৌঁছেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।