ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান

ক্রীড়া ডেস্ক : তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জিতবে টাইগাররা। বাঁচা-মরার ম্যাচে তামিম ইকবালের দলকে সহজ লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান। অর্থাৎ সিরিজ জিততে টাইগারদের লক্ষ্য ২৪১ রান।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও তিনাশে কামুনহুকামওয়ে। প্রথমজন নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামলেও পরের জনের এ ম্যাচেই অভিষেক হয়।

নিজের প্রথম ডেলিভারি ওয়াইড দিলেও দ্রুতই নিজের চেনা লাইন-লেন্থে ফিরে আসেন তাসকিন আহমেদ। ফলও পেয়ে যান দ্রুত।

নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত করে কামুনহুকামওয়েকে সাজঘরে ফেরান তিনি। অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান করেন ১ রান।

এরপর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া রেগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যান মারুমানি। তাসকিনের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পরপর দুই বলে জীবন পান মারুমানি। রিয়াদের সুযোগটি কঠিন থাকলেও বেশ সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন সাইফউদ্দিন।

অবশ্য জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি মারুমানি। পরের ওভারে এসেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে ১৮ বল খেলে করেন ১৩ রান।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর চাকাভা ও ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটে বেশ ভালোভাবে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। পাল্টা আক্রমণে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিচ্ছিলেন তারা। তবে তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেন সাকিব।

ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিবের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হন চাকাভা। ৩২ বলে ২৬ রান করেন তিনি। এরপর আগের ম্যাচের মতো এবারও দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন টেলর। কিন্তু হাস্যকর ভুলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি।

ইনিংসের ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন শরিফুল। কিছুটা নিচু হয়ে পুল আপার কাট শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন টেলর। তবে ব্যাটে বলে হয়নি। এরপর শ্যাডো অনুশীলন করতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধান তিনি।

বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে জমা হওয়ার পর টেলর স্বভাবমূলকভাবে ব্যাট হাতে শ্যাডো করছিলেন। এ সময় তার ব্যাট স্ট্যাম্পের বেলে আঘাত করলে কাষ্ঠখণ্ডটি পড়ে যায়। পরে আম্পায়াররা চেক করে টেলরকে আউট ঘোষণা করেন।

সাজঘরে ফেরার আগে ৫৭ বলে ৪৬ রান করেন টেলর। স্ক্রিণে যখন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে আউট ঘোষণা করা হয়, তখনও যেন টাইগাররা বিশ্বাসই করতে পারেননি। বোলার শরিফুলও মুখ চেপে হাসতে থাকেন।

সাজঘরে ফেরার আগে ওয়েসলে মাধেভেরেকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন ডিওন মেয়ার্স। সাকিবের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৪ রান করেন তিনি। খেলেন ৫৯ বল।

একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিফটি তুলে নেন ওয়েসলে মাধেভেরে। শরিফুল ইসলামের বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর আগে করেন ৫৬ রান।

তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের আর কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। শেষ দিকে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তারা। সিকান্দার রাজা ফেরেন ৩০ রানে। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

চার উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান নেন দুই উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।

ট্যাগস

জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান

আপডেট সময় ০৬:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জিতবে টাইগাররা। বাঁচা-মরার ম্যাচে তামিম ইকবালের দলকে সহজ লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান। অর্থাৎ সিরিজ জিততে টাইগারদের লক্ষ্য ২৪১ রান।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও তিনাশে কামুনহুকামওয়ে। প্রথমজন নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামলেও পরের জনের এ ম্যাচেই অভিষেক হয়।

নিজের প্রথম ডেলিভারি ওয়াইড দিলেও দ্রুতই নিজের চেনা লাইন-লেন্থে ফিরে আসেন তাসকিন আহমেদ। ফলও পেয়ে যান দ্রুত।

নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত করে কামুনহুকামওয়েকে সাজঘরে ফেরান তিনি। অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান করেন ১ রান।

এরপর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া রেগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যান মারুমানি। তাসকিনের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পরপর দুই বলে জীবন পান মারুমানি। রিয়াদের সুযোগটি কঠিন থাকলেও বেশ সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন সাইফউদ্দিন।

অবশ্য জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি মারুমানি। পরের ওভারে এসেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে ১৮ বল খেলে করেন ১৩ রান।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর চাকাভা ও ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটে বেশ ভালোভাবে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। পাল্টা আক্রমণে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিচ্ছিলেন তারা। তবে তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেন সাকিব।

ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিবের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হন চাকাভা। ৩২ বলে ২৬ রান করেন তিনি। এরপর আগের ম্যাচের মতো এবারও দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন টেলর। কিন্তু হাস্যকর ভুলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি।

ইনিংসের ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন শরিফুল। কিছুটা নিচু হয়ে পুল আপার কাট শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন টেলর। তবে ব্যাটে বলে হয়নি। এরপর শ্যাডো অনুশীলন করতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধান তিনি।

বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে জমা হওয়ার পর টেলর স্বভাবমূলকভাবে ব্যাট হাতে শ্যাডো করছিলেন। এ সময় তার ব্যাট স্ট্যাম্পের বেলে আঘাত করলে কাষ্ঠখণ্ডটি পড়ে যায়। পরে আম্পায়াররা চেক করে টেলরকে আউট ঘোষণা করেন।

সাজঘরে ফেরার আগে ৫৭ বলে ৪৬ রান করেন টেলর। স্ক্রিণে যখন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে আউট ঘোষণা করা হয়, তখনও যেন টাইগাররা বিশ্বাসই করতে পারেননি। বোলার শরিফুলও মুখ চেপে হাসতে থাকেন।

সাজঘরে ফেরার আগে ওয়েসলে মাধেভেরেকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন ডিওন মেয়ার্স। সাকিবের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৪ রান করেন তিনি। খেলেন ৫৯ বল।

একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিফটি তুলে নেন ওয়েসলে মাধেভেরে। শরিফুল ইসলামের বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর আগে করেন ৫৬ রান।

তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের আর কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। শেষ দিকে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তারা। সিকান্দার রাজা ফেরেন ৩০ রানে। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

চার উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান নেন দুই উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।