জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নিখোঁজের চারদিন পর নাজমুল হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার মহিলা কলেজ সংলগ্ন জোয়ানা রেল ব্রিজ এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাজমুল পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পূর্ব খাদাইল গ্রামের আলামিন হোসেনের ছেলে ও খাদাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
বুধবার ভোরে মহিলা কলেজের উত্তরে জোয়ানা রেল ব্রিজ এলাকায় রেল লাইনের পশ্চিম পাশে স্থানীয়রা বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে আক্কেলপুর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা আলামিন বলেন, শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে আমার ভাতিজি তানজিলার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে থাকা আমার ছেলে নাজমুলের মোবাইল ফোনে কল আসে।
ফোন পেয়ে নাজমুল বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন শনিবার (৭ নভেম্বর) আমার ছেলের মোবাইল থেকে কল করে এক ব্যক্তি ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
টাকা দিতে চাইলে ফোন কেটে দেয়। পরে ওইদিন চারজনকে আসামি করে বদলগাছী থানায় মামলা করি। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের চাচা মতিউর রহমান বলেন, আমার ভাতিজাকে শুক্রবার বিকেলে একটি মেয়ে বার বার ফোন করে আক্কেলপুর-জয়পুরহাট রাস্তার কেচের মোড়ে ডেকে নেয়ার পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বুধবার আক্কেলপুরের রেললাইনের পাশে নাজমুলের বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়।
বদলগাছী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রায়হান হোসেন বলেন, নিহত নাজমুলের বাবা গত শনিবার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতু নামে এক মেয়েকে থানায় আনা হয়েছে।
আক্কেলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ খান বলেন, ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় পর মরদেহ বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হবে।