ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে চালু হলো করোনা টেষ্টের ল্যাবরেটরী

ফরিদপুর পিসিআর ল্যাব

স্টাফ রিপোর্টারঃ  ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে  চালু করা হলো করোনা ভাইরাস টেষ্টের ল্যাবরেটরী। আজ সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম চালু করা হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ তলায় করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রি-অ্যাকশন) যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।তবে ল্যাবরেটরীতে কর্মরতদের জন্য মাস্ক সংকট রয়েছে এবং জীবাণুমুক্ত করার অটোক্লেব মেশিনের সক্ষমতা কম।

এসময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান, ফরিদপুর ডায়বেটিক সমিতির সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গির হোসেন টিটো চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা এখানে শুরুতে পরীক্ষা করা হবে।

প্রথম দিনে ৫৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। প্রতিদিন এখানে ৯৪টি নমুনা টেষ্ট করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত নমুনা দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে। পরে আশেপাশের অন্যান্য জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার কীট পাঠানো হয়েছে।

এ ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম। এছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য তিন সমস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া এবং বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজাউল কাদের। পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে সাতজন টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করবেন।

বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজাউল কাদের এই প্রতিবেদককে জানান, এই ল্যাবরেটরীতে কর্মরতদের জন্য তারা এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই পেয়েছেন তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

এছাড়া যন্ত্রপাতি ও নমুনার বর্জ জীবানুমুক্ত করার জন্য যেই অটোক্লেব মেশিন দরকার সেটিও প্রয়েূাজনের তুলনায় ছোট। তাদের এখন আরো কমপক্ষে ৩শ এন-৯৫ মাস্ক এবং ১২০ লিটারের একটি অটোক্লেব মেশিন দরকার।

এসবের চাহিদাপত্র দিয়ে জন্য ঢাকার সিএমএসডিতে তাদের লোক পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় মাস্ক না পেলে এবং অটোক্লেব মেশিনের সক্ষমতা না বাড়ালে কদিন পর নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ট্যাগস

ফরিদপুরে চালু হলো করোনা টেষ্টের ল্যাবরেটরী

আপডেট সময় ০৬:১০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে  চালু করা হলো করোনা ভাইরাস টেষ্টের ল্যাবরেটরী। আজ সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম চালু করা হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ তলায় করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রি-অ্যাকশন) যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।তবে ল্যাবরেটরীতে কর্মরতদের জন্য মাস্ক সংকট রয়েছে এবং জীবাণুমুক্ত করার অটোক্লেব মেশিনের সক্ষমতা কম।

এসময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান, ফরিদপুর ডায়বেটিক সমিতির সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গির হোসেন টিটো চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা এখানে শুরুতে পরীক্ষা করা হবে।

প্রথম দিনে ৫৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। প্রতিদিন এখানে ৯৪টি নমুনা টেষ্ট করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত নমুনা দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে। পরে আশেপাশের অন্যান্য জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার কীট পাঠানো হয়েছে।

এ ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম। এছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য তিন সমস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া এবং বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজাউল কাদের। পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে সাতজন টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করবেন।

বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজাউল কাদের এই প্রতিবেদককে জানান, এই ল্যাবরেটরীতে কর্মরতদের জন্য তারা এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই পেয়েছেন তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

এছাড়া যন্ত্রপাতি ও নমুনার বর্জ জীবানুমুক্ত করার জন্য যেই অটোক্লেব মেশিন দরকার সেটিও প্রয়েূাজনের তুলনায় ছোট। তাদের এখন আরো কমপক্ষে ৩শ এন-৯৫ মাস্ক এবং ১২০ লিটারের একটি অটোক্লেব মেশিন দরকার।

এসবের চাহিদাপত্র দিয়ে জন্য ঢাকার সিএমএসডিতে তাদের লোক পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় মাস্ক না পেলে এবং অটোক্লেব মেশিনের সক্ষমতা না বাড়ালে কদিন পর নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।