ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিরাপত্তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে। এ সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অনেক কার্যালয় বিভিন্ন দল দখল করেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে কার্যালয়গুলো।এরই মধ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংস্কারের লক্ষ্যে এবং দলীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।গত ১৬ অক্টোবর এই আবেদন করা হয়।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের একজন নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক কার্যালয়টি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে আছে।সেখানে ভবঘুরেরা নিয়মিত যাতায়াত করে। প্রায় একই রকম অবস্থায় পরিণত হয়েছে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ও।

এ ছাড়া বেদখল হয়ে আছে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো।আর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মূল দলের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকার মূল তিন কার্যালয় নিজেদের দখলে নিতে চায় আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিশৃঙ্খল হয়ে আছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না।

পল্টন থানার এক মামলায় কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকে আসামি করা হয়েছে।বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। পুড়ে যাওয়া কার্যালয়গুলো মেরামত করতে দেওয়া হচ্ছে না। থানায় গিয়ে মামলা করা তো অনেক দূরের কথা, একটা জিডি পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।’গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত ৪ সেপ্টেম্বর দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি।

বিবৃতিতে নানক দাবি করেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে।’

ট্যাগস

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিরাপত্তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে। এ সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অনেক কার্যালয় বিভিন্ন দল দখল করেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে কার্যালয়গুলো।এরই মধ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংস্কারের লক্ষ্যে এবং দলীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।গত ১৬ অক্টোবর এই আবেদন করা হয়।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের একজন নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক কার্যালয়টি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে আছে।সেখানে ভবঘুরেরা নিয়মিত যাতায়াত করে। প্রায় একই রকম অবস্থায় পরিণত হয়েছে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ও।

এ ছাড়া বেদখল হয়ে আছে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো।আর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মূল দলের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকার মূল তিন কার্যালয় নিজেদের দখলে নিতে চায় আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিশৃঙ্খল হয়ে আছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না।

পল্টন থানার এক মামলায় কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকে আসামি করা হয়েছে।বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। পুড়ে যাওয়া কার্যালয়গুলো মেরামত করতে দেওয়া হচ্ছে না। থানায় গিয়ে মামলা করা তো অনেক দূরের কথা, একটা জিডি পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।’গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত ৪ সেপ্টেম্বর দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি।

বিবৃতিতে নানক দাবি করেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে।’


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471