ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে দেনমোহরসহ তালাক চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন

টাঙ্গাইলে দেনমোহরসহ তালাক চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:  টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাঁচ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক স্বামী ওয়াসীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ প্রেসবিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মির্জাপুর উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই এই হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো. ওয়াসীমকে শনাক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতার ওয়াসীম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহাকের ছেলে।

পুলিশকে ওয়াসীম জানান, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি ভোলা জেলার লালমহন থানার দেবীর চর বেড়িবাঁধ হাওলাদার বাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে।

ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সঙ্গে ওয়াসীমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসীম নিজ এলাকা দিনাজপুরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একথা শুনে নাজমা ওয়াসীমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলেন। পরে নাজমার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসীমের সঙ্গে নাজমার বিয়ে পড়ান এবং তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করেন।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইটভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসীমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সেখানে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাজমা দেনমোহরের তিন লাখ টাকা ও ডিভোর্স চান, তা না হলে মামলা করার ভয় দেখান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়।

পরে ইটভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং মরদেহ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভেতর মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান।

১৭ ডিসেম্বর নাজমা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নাজমা বেগমের বড় ভাই হোসেন ওরফে জুয়েল বাদী হয়ে ওয়াসীমকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের খানসামা মুন্সিপাড়া থেকে ওয়াসিমকে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয়।

ট্যাগস

টাঙ্গাইলে দেনমোহরসহ তালাক চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন

আপডেট সময় ১১:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:  টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাঁচ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক স্বামী ওয়াসীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ প্রেসবিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মির্জাপুর উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই এই হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো. ওয়াসীমকে শনাক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতার ওয়াসীম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহাকের ছেলে।

পুলিশকে ওয়াসীম জানান, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি ভোলা জেলার লালমহন থানার দেবীর চর বেড়িবাঁধ হাওলাদার বাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে।

ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সঙ্গে ওয়াসীমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসীম নিজ এলাকা দিনাজপুরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একথা শুনে নাজমা ওয়াসীমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলেন। পরে নাজমার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসীমের সঙ্গে নাজমার বিয়ে পড়ান এবং তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করেন।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইটভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসীমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সেখানে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাজমা দেনমোহরের তিন লাখ টাকা ও ডিভোর্স চান, তা না হলে মামলা করার ভয় দেখান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়।

পরে ইটভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং মরদেহ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভেতর মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান।

১৭ ডিসেম্বর নাজমা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নাজমা বেগমের বড় ভাই হোসেন ওরফে জুয়েল বাদী হয়ে ওয়াসীমকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের খানসামা মুন্সিপাড়া থেকে ওয়াসিমকে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয়।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471